এ সময় বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করা হয় ও ভারতীয় অনুদানে ভবন নির্মাণের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান ব্যক্ত করা হয়।
Published : 23 Aug 2024, 12:14 AM
বাংলাদেশ-ভারত অভিন্ন নদীর ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত, উজানে বাঁধ বন্ধ করা এবং ‘দাসত্বমূলক সব চুক্তি বাতিল করাসহ ভারতীয় আগ্রাসনের’ বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা।
মিছিলটি কয়েকটি সড়ক ঘুরে বটতলা এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়। এ সময় বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করা হয় ও ভারতীয় অনুদানে ভবন নির্মাণের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান ব্যক্ত করা হয়।
সমাবেশে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, “স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারকে বাংলাদেশ থেকে উৎখাত করতে পারলেও এখনো ভারতীয় আগ্রাসন চলমান। শেখ হাসিনা সরকার যেভাবে ভারতকে শুধু দুইহাতে দিয়ে গেছে, সেদিন আর নাই। পাকিস্তান, চীন, মায়ানমার ও শ্রীলঙ্কার মত বাংলাদেশেও ভারতের বন্ধু দেশ থাকবে না যদি অনতিবিলম্বে সব অন্যায্য চুক্তি বাতিল করা না হয়।”
জাবিতে নির্মাণাধীন চারুকলা ভবনের কথা উল্লেখ করে বলেন, “যে ভারত আমাদের ফেলানীকে হত্যা করেছে, সীমান্তে মানুষ হত্যা করে এবং বন্যায় বাঁধ খুলে বালাদেশের মানুষকে প্লাবিত করে সেই দেশের অনুদানে জাবিতে কোনো ভবন নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না।”
ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, “ভারত-বাংলাদেশের যৌথ ৫৪টা আন্তর্জাতিক নদীর বেশিরভাগ নদীতেই অবৈধ বাঁধ দিয়ে একদিকে যেমন গ্রীষ্মকালে পানি বন্ধ করে খরার সৃষ্টি করে অন্যদিকে বর্ষাকালে বাঁধ খুলে বাংলাদেশের মানুষকে বন্যার পানিতে প্লাবিত করে। গত ১৬ বছরে বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য ও বাজারে পরিণত করা হয়েছে। এখনই সময় এসেছে ভারতীয় এসব আগ্রাসন রুখে দেওয়ার।”
ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক সোহেল রানা বলেন, “স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার গত ১৬টি বছরে আমাদের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। যেভাবে স্বৈরাচার সরকারকে উৎখাত করে আমাদের বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে এনেছি সেভাবেই ভারতীয় সব অন্যায্য চুক্তি বাতিল ও আগ্রাসন রুখে দিতে হবে।”
তিনি ভারতের এসব অন্যায্য চুক্তির আন্তর্জাতিক সমাধান করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, “ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে থাকা প্রায় ৫৪টি নদীতে বাঁধ দিয়ে ভারত বাংলাদেশকে শাসন করতে চেয়েছিল। বাংলাদেশকে বন্যার পানিতে এভাবে অস্থিতিশীল করলে ভারতকেও স্থিতিশীল থাকতে দেওয়া হবে না। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করলে ভারতের সেভেন সিস্টারকে অস্থিতিশীল করে তোলা হবে।”