এ ঘটনায় নারীসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন এলাকাবাসী।
Published : 19 Mar 2025, 08:52 PM
ঢাকা থেকে যাত্রী সেজে ভাড়া করা মাইক্রোবাস ছিনতাইয়ের চেষ্টার সময় ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানা পুলিশ যানটি উদ্ধার করে।
বুধবার সকালে জেলার বোয়ালমারী পৌরবাজারের ডাকবাংলো রোডের অগ্রণী ব্যাংকের সামনে থেকে যানটি উদ্ধার করা হয় বলে বোয়ালমারী থানার এসআই মো. কামরুজ্জামান জানান।
থানা পুলিশ ও মাইক্রোবাসটির মালিকের দেওয়া তথ্যমতে, ঢাকার বাড্ডা সুবাস্তু টাওয়ার এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে মোবাইল ফোনের (০১৬০৫২৩৯৫১১) মাধ্যমে এনামুল নামে এক ব্যক্তি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর যাওয়ার কথা বলে ভাড়া নেন।
ঢাকা মেট্রো-চ-১৯০৮৩৪ নম্বরের মাইক্রোবাসটি ১১ হাজার টাকায় ভাড়া করে নারীসহ পাঁচ যাত্রী রওনা হন।
এক পর্যায়ে যাত্রীরা গাড়ির চালক জামাল হাওলাদারকে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর ব্যাসপুর এলাকায় যেতে বলেন।
ব্যাসপুর এলাকায় ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নারী যাত্রীসহ তিনজন নেমে চালককে গাড়ির পেছনের ডালা খুলে লাগেজ নামিয়ে দিতে বলেন।
চালক ডালা খুলে লাগেজ নামানো শেষ হতেই গাড়িতে থাকা অন্য দুই যাত্রী মাইক্রোবাসটি নিয়ে পালিয়ে যান।
সেখানে নেমে যাওয়া তিন যাত্রীর সঙ্গে মাইক্রোবাসের চালক জামালের ধস্তাধস্তির হয়। এক পর্যায়ে জামাল চিৎকার শুরু করেন। তখন এলাকাবাসী ওই নারী ও পুরুষ যাত্রীকে আটক করে কাশিয়ানী পুলিশকে খবর দেন।
পুলিশ আটক নারী ও পুরুষকে থানা হেফাজেত নেয় বলে জানান ওই থানার এএসআই সরোয়ার হোসেন।
এদিকে, ভোর ৫টার দিকে মালিক সোহেল রানা তার গাড়ি ছিনতাইয়ের খবর পান। তিনি ঢাকা থেকে জিপিএসের মাধ্যমে মাইক্রোবাসটির লোকেশন শনাক্ত করে জরুরি নম্বর ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে বোয়ালমারী থানা পুলিশকে জানিয়ে গাড়িটি লক করে দেন।
গাড়িটি বন্ধ হয়ে গেলে বোয়ালমারী ডাকবাংলো রোডের অগ্রণী ব্যাংকের সামনে রেখে দুই যাত্রী পালিয়ে যান।
এদিকে, অবস্থান শনাক্ত করে বোয়ালমারী থানা পুলিশ গিয়ে মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করে।
উদ্ধার হওয়া গাড়ির মালিক সোহেল রানা ঢাকা থেকে বোয়ালমারী থানায় গিয়ে গাড়িটি শনাক্ত করেন।
বুধবার বেলা ৩টার দিকে মালিকসহ গাড়িটি কাশিয়ানী থানায় নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন কাশিয়ানীর থানার ওসি মো. জিল্লুর রহমান।
সোহেল রানা বলেন, “ভোর ৫টার দিকে গাড়িটির ড্রাইভার জামালের ভাইয়ের মাধ্যমে জানতে পারি, আমার গাড়িটি ছিনতাই হয়েছে। দ্রুত জিপিএস চালু করে দেখতে পাই, গাড়িটি বোয়ালমারী বাজার পার হচ্ছে। বিষয়টি পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯-এ নম্বরে ফোন দিলে বোয়ালমারী থানার ডিউটি অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয়। তখন গাড়িটি তাদের বোয়ালমারী বাজারে আছে জানিয়ে জিপিএস লক করে দিই। সেখান থেকে পুলিশ গাড়িটি উদ্ধার করে থানায় নেয়। পরে ঢাকা থেকে থানায় গিয়ে গাড়িটি শনাক্ত করি।”
বোয়ালমারী থানা ওসি মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, “যেহেতু ঘটনাস্থল কাশিয়ানী থানার মধ্যে, তাই গাড়িটি কাশিয়ানী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি কাশিয়ানী থানা দেখছেন। তারাই আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।”
এ ঘটনায় দুজন আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, “আটকদের বিষয়ে তদন্ত চলছে।”