শকুনের সেবায় মুদি দোকানি

“প্রায় ১০ কেজি ওজনের শকুনটিকে নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে।”

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় এক মুদি দোকানির ঘরের চালে উড়ে আসে একটি অসুস্থ শকুন। এরপর থেকে শকুনটিকে সুস্থ করে তুলতে তিনদিন ধরে মুরগি খাইয়ে সেবা করছেন ওই দোকানি।

শনিবার দুপুরে বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাড়িয়াল গ্রামের বাসিন্দা মো. সোলায়মানের বাড়িতে শকুনটি উড়ে আসে বলে তিনি নিজেই জানিয়েছেন।

স্থানীয় মুন্সীর হাটের মুদি দোকানদার সোলায়মান বলেন, “দুপুর ২টার দিকে আমার ঘরের চালের ওপর বিশাল একটি শকুন এসে পড়ে। এ সময় আমার স্ত্রী ভয় পেয়ে আমাকে খবর দেয়। পরে দ্রুত বাড়ি ফিরে শকুনটিকে নিচে পড়ে থাকতে দেখি। কিন্তু আমি কাছে গেলেও শকুনটি আমাকে ঠোকর দেয়নি।

“এরপর শকুনটিকে একটি পরিত্যক্ত ঘরে রেখে বন বিভাগকে খবর দেই। পরে বন বিভাগের লোকজন শকুনটিকে পানি ও মুরগি খেতে দেওয়ার পরামর্শ দেন। তাই শনিবার থেকে প্রতিদিন একটি করে মুরগি খেতে দেওয়া হচ্ছে।”

শকুনটি এখনও উড়ে যাওয়ার মতো সুস্থ হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, “বন বিভাগের কর্মকর্তা এসে শকুনটি দেখেও গেছেন। তারা আরও কয়েকদিন সেবা করার পরামর্শ দিয়েছেন। পরে তারা এসে নিয়ে যাবেন বলেছেন। মুরগি কেনার টাকাও বনবিভাগ থেকে দেওয়া হয়েছে।”

বরিশাল সদর বন কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান সাকিব বলেন, “শকুনটি হিমালয় গৃধিনী প্রজাতির। বতর্মানে এ অঞ্চলে কোনো শকুন নেই। শকুনটি দলছুট হয়ে এসে পড়েছে। সুস্থ হলে ছেড়ে দেওয়া হবে।”

তিনি বলেন, “শকুনটির ওজন প্রায় ১০ কেজি। এত বড় শকুন আরেক জায়গায় স্থানান্তর করতে ঝামেলা হবে। তাই শকুনটিকে নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। যার কাছে রয়েছে, তাকে খাবার খরচ দেওয়া হবে।”