বক্তারা বলেন, অনতিবিলম্বে তারা পদত্যাগ না করলে সিলেটবাসীকে সঙ্গে নিয়ে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
Published : 18 Aug 2024, 11:22 PM
উপাচার্য, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদ।
রোববার দুপুর ১২টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে মিছিল নিয়ে সিলেট নগরীর চৌহাট্টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সামনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাইদুল ইসলাম চৌধুরী, সেকশন অফিসার আশরাফুল ইসলাম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা রহমত আলী, কাজি মাসুদ, কর্মচারীদের মধ্যে আহসান উদ্দিন, মুহাজিরুল ইসলাম, নুরুল আমীন চৌধুরী, এনাম আহমদ, আব্দুস সামাদ চৌধুরী, তিলোত্তমা দাশ, তারেক হাসান ও মনি আক্তার।
তারা বলেন, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এনায়েত হোসেন, ট্রেজারার শাহ আলম ও রেজিস্ট্রার (অ্যাডহক) আবুল কালাম মো. ফজলুর রহমান পদত্যাগ না করে উল্টো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছেন।
৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়ার পরও তারা পদত্যাগ না করেননি। অনতিবিলম্বে তারা পদত্যাগ না করলে সিলেটবাসীকে সঙ্গে নিয়ে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে অধিভুক্ত কলেজগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হলে তার সম্পূর্ণ দায়ভার উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের। তারা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন ও পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তারা শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
১২ অগাস্ট উপাচার্য, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রারকে পদত্যাগের জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদ।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ, ২০২২ সালে (অ্যাডহক) ভিত্তিতে রেজিস্ট্রার পদে আবুল কালাম মো. ফজলুর রহমান নিয়োগ পান। এরপর থেকেই নানা অনিয়ম শুরু করেন। তার এসব দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে স্থানীয় পত্রিকা ও বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তবুও ক্ষমতার দাপট ও ভিসির একচ্ছত্র মদদে তিনি স্বপদে বহাল রয়েছেন। তাকে মদদ দিতেন উপাচার্য. এনায়েত হোসেন।