রাত ১০টার দিকে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা অবরুদ্ধ তিনজনকে উদ্ধার করেন।
Published : 14 Dec 2024, 01:03 AM
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় সাদা পোশাকে একদল পুলিশ এক চা দোকানিকে ধাওয়া দিয়ে আটকের পর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে।
এরপর হত্যার অভিযোগ তুলে তিন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে একটি দোকানে অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয়রা। পুড়িয়ে দেওয়া হয় তাদের মোটরসাইকেল।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের চণ্ডিপুর গ্রামের জিকে ক্যানেল পাড়ে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান কুষ্টিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার (ভেড়ামারা সার্কেল) আবদুল খালেক।
রাত ১০টার দিকে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা অবরুদ্ধ তিনি পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে।
নিহত রফিকুল ইসলাম দুদু (৪৫) ওই এলাকার আজিজ মণ্ডলের ছেলে।
পুলিশ পরিকল্পিতভাবে এই হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন রফিকুল ছোট ভাই মোস্তফিজুর রহমান মোস্তাক।
জিকে ক্যানেলের ৪ নম্বর সেতুর কাছে রফিকুলের চায়ের দোকান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভেড়ামারা থানার এস আই সালাউদ্দীন ও তার সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যরা ওই এলাকায় অভিযান চালায়।
পুলিশ দেখে রফিকুল সেতু থেকে লাফ দেন। পরে তাকে ধাওয়া দিয়ে আটক করা হয়।
পুলিশের মারধরের এক পর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রফিকুলের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়ালে বিক্ষুব্ধ জনতা ধাওয়া দিয়ে তিন পুলিশ সদস্যকে আটক করলেও তিনজন পালিয়ে যান। পরে তাদেরকে মারধর করে বাজারের একটি দোকানে আটকে রাখা হয়।
রফিকুলের ভাই মোস্তাফিজুরের বলেন, “আমার ভাই কোনো মামলার আসামি নয়। তার নামে কোনো ওয়ারেন্টও দেখাতে পারেনি পুলিশ। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।”
পুলিশ কেন ঘটনাস্থলে গিয়েছিল এমন প্রশ্নের জবাবে ভেড়ামারা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, “তারা সেখানে মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়েছিলেন।”
সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল খালেক জানান, তিন পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কেন তারা সেখানে গিয়েছিল তা নিয়ে তদন্ত চলছে।
স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই তিন পুলিশ সদস্যকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।