মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে ফল প্রকাশ করেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এ বছর পাসের হার ৯৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ, যা গতবছরের তুলনায় কিছুটা কম। গত বছর পিএসসিতে পাসের হার ছিল ৯৮ দশমিক ৭১ শতাংশ।
ঘোষিত ফলাফলে এবারের পরীক্ষায় ৯৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ পাসের হার নিয়ে চট্টগ্রাম জেলার শীর্ষস্থান দখল করেছে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা, ৯৯ দশমিক ৫১ শতাংশ পাশের হার নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফটিকছড়ি আর ৯৯ দশমিক ০৬ পাশের হার নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে পটিয়া উপজেলা।
নগরীর থানাগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ চান্দগাঁও এবং কোতোয়ালী থানায় পাসের হার ৯৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। পাহাড়তলি থানায় পাসের হার ৯৮ দশমিক ৫২ শতাংশ।
গত বছর ইবতেদায়ীতে পাশের হার ছিল ৯৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এবছর তা কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩ শতাংশ ৯৩।
জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, বরাবর গ্রাম পিছিয়ে থাকার যে প্রথা ছিল সেটি এবার ভেঙ্গে দিল জেলার স্কুলগুলো।
এটাকে শুভ লক্ষণ অবহিত করে মেজবাহ উদ্দিন বলেন, “গ্রামের ছেলে-মেয়েরা পড়াশুনায় মনোযোগী হয়েছে। সুযোগ-সুবিধাও বেড়েছে সমানভাবে। তাই তারা এরকম ফলাফল করছে।”
গ্রামের শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি তিনি শহরের ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনায় আরো মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।
এ সময় তিনি মাদ্রাসায় পড়াশুনার মান আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে বলে দাবি করেন।
এবারে পিএসসি পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যা ছিল এক লাখ ৪০ হাজার ছয়শ। তার মধ্যে পাস করেছে এক লাখ ৩৭ হাজার ছয়শ ১৭ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ১০ হাজার ৫১১ জন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা।