‘জাতীয় গণহত্যা দিবস’ পালন করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা বাংলাদেশের দূতাবাস।
Published : 26 Mar 2024, 11:29 AM
৭১-এর গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের অঙ্গীকার জানিয়ে ‘জাতীয় গণহত্যা দিবস’ পালন করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা বাংলাদেশের দূতাবাস।
দিবসটি উপলক্ষ্যে সোমবার শহীদ স্মরণে নিরবতা পালন, মোমবাতি প্রজ্বলন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ, মোনাজাত, গণহত্যার উপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী এবং আলোচনা সভা করে তারা।
আয়োজিত নানা কর্মসূচি নিয়ে বিডিনিউজ ডটকমের কাছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে দূতাবাসগুলো। তারই কিছু এখানে সংকলিত হলো-
বাংলাদেশ দূতাবাস, ওয়াশিংটন ডি.সি.
দূতাবাস আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের সামনে পাকিস্তানি বাহিনীর ২৫ মার্চের বর্বরতা তুলে ধরার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আরিফা রহমান রুমা।
উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শাহেদুল ইসলাম, মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) মো. রাশেদুজ্জামান, ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট ও ভিসা উইং) মুহাম্মদ আব্দুল হাই মিলটন এবং মিনিস্টার (প্রেস) এজেডএম সাজ্জাদ হোসেন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, নিউ ইয়র্ক
আলোচনা পর্বে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত ১৯৭১ সালে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে, ইতিহাসের এই ভয়াবহ ঘটনার নথিগুলো আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরার উপর গুরুত্বারোপ করেন। এর পাশাপাশি, জাতীয়ভাবে এই নথিগুলো স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, নিউ ইয়র্ক
কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদার সভাপতিত্বে দিবসটির ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ঢাকাসহ সারাদেশে ইতিহাসের যে নৃশংসতম ও বর্বরতম হত্যাকাণ্ড অনুষ্ঠিত হয়েছিল তা উল্লেখ করেন কনসাল জেনারেল।
ব্রাজিল
রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে ১৯৭১-এর গণহত্যা বিষয়ে বিশ্বব্যাপী জোরালো জনমত তৈরি এবং ভবিষ্যতে এমন নির্মম গণহত্যার পুনরাবৃত্তি রোধে বিশ্বব্যাপী জনমত সৃষ্টির উপর গুরুত্বারোপ করেন। ১৯৭১ এর গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে ব্রাজিল বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
কুয়েত
কুয়েত থেকে আমাদের প্রতিনিধি আ হ জুবেদ জানান, দিবসটি উপলক্ষ্যে দূতাবাসের মাল্টিপারপাস হলরুমে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান। উপস্থিত ছিলেন ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান, শ্রম কাউন্সেলর আবুল হোসেন এবং পাসপোর্ট ও ভিসা বিভাগের কাউন্সেলর ইকবাল আকতার।
কানাডা
টরন্টোতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল আয়োজিত সভায় বক্তব্য দেন কনসাল জেনারেল মো. ফারুক হোসেন। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শীঘ্রই বাংলাদেশের গণহত্যা দিবস আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ভিয়েতনাম
হ্যানয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে অনুষ্ঠিত আলোচনা পর্বে মূল বক্তব্য দেন রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মিশনের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান নাসির উদদীন।