জেনিভায় 'আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস' পালিত

সুইজারল্যান্ডের স্বল্প সংখ্যক প্রবাসী অনেক প্রবাসীঘন দেশের চেয়ে বাংলাদেশে বেশি রেমিটেন্স বৈধপথে প্রেরণ করেন বলে রাষ্ট্রদূত জানান।

সুইজারল্যান্ডের জেনিভার বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০২২’ উদযাপন করেছে।

স্থানীয় সময় গত সপ্তাহের সোমবার কাউন্সেলর কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় ওই দিবসটি উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

যার শুরুতেই সুইজারল্যান্ডে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি ও সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সভাপতি জমাদার নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান এর নেতৃত্বে নবাগত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সুফিউর রহমানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

অভিবাসী ও বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহের উপর একটি তথ্য ও ব্যাখ্যাভিত্তিক চলচ্চিত্র উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভার সূচনা হয়।

আলোচনা সভায় জেনিভায় নবনিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সুফিউর রহমান বলেন, “সরকার প্রবাসীদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৩০ ডিসেম্বর-কে ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।”

সুইজারল্যান্ডে স্বল্পসংখ্যক বাংলাদেশির প্রবাসীর সংখ্যা স্বল্প সংখ্যক উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, “তা সত্ত্বেও থাকলেও অনেক প্রবাসী আছেন এমন দেশের চেয়েও আনুপাতিক হারে বেশি রেমিটেন্স এখান দেশে যাচ্ছে।”

এই প্রেক্ষিতে তিনি প্রবাসীদের ধন্যবাদ জানান এবং রেমিটেন্স প্রেরণের এ ধারা অব্যাহত রাখতে তিনি প্রবাসীদের সহায়তা চান।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জমাদার নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাসুম খান দুলাল, উপদেষ্টা অশোক কুমার সরকার রবি, আসরাফুল আলম লিটন, মিয়া আবুল কালাম, আনিস খান, বাকি উল্লাহ খান প্রমুখ।

সভায় সুইজারল্যান্ডে বসবাসরত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রবাসীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। তারা ই-ব্যাংকিং সুবিধা, বাংলাদেশের অফিস সময়ের বাইরেও ছুটির দিনে ব্যাংকিং সেবা, রেমিট্যান্স প্রেরণে সর্বোচ্চ সীমা ও এ সংক্রান্ত জটিলতা, রেমিট্যান্স গায়েব হওয়া ইত্যাদি বিষয় ও সমস্যার সমাধানের উপর জোর দেন।

রাষ্ট্রদূত তাদের পরামর্শ, সুপারিশ ও নানাবিধ সমস্যার কথা শোনেন। প্রবাসীরা তাদের কল্যাণে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।