প্রথমবারের মতো এতে অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশ। মেলায় সাজানো বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন দৃষ্টি কাড়ছে দর্শনার্থীদের।
৬০ একর জায়গা জুড়ে ৩২ দেশের অংশগ্রহণে ছয়মাস ব্যাপী এ মেলা শুরু হয়েছে গত ১৪ এপ্রিল। এটি উদ্বোধন হয়েছে ১৩ এপ্রিল, চলবে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত।
মেলার প্রতিষ্ঠাতা অংশিদার হিসেবে রয়েছে আলমেরি পৌরসভা, ফ্লেভোল্যান্ড প্রদেশ, ডাচ হর্টিকালচারাল কাউন্সিল ও নেদারল্যান্ডসের কেন্দ্রীয় সরকার।
গত ৩ ও ৪ জুন মেলার বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে গেলে কথা হয় সেখানে দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. সাইফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সবুজায়নের উপযোগী চারা ও কৃষিজ পণ্য নিয়ে নানা সাজে সাজিয়েছে তাদের প্যাভিলিয়নগুলো, যা ঘুরে ঘুরে দেখছে দর্শনার্থীরা। আর বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন উদ্যান চারার পাশাপাশি রেখেছে বাঁশ, বেত, কাঠ ও পাটের তৈরি সামগ্রী।
মেলা দেখতে আসা প্রবাসী বাংলাদেশি অন্তু দেব জানান, এ মেলা প্রতি বছর হয় না। প্রতি ১০ বছর পর পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নিয়ে এ আয়োজন হয়। যে কারণে এ প্রদর্শনীতে বরাবরই পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে উদ্যানবিদ, প্রকৃতি বিশেষজ্ঞ ও উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা আসেন।
তিনি জানান, এখন পর্যন্ত চারশটিরও বেশি জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক সংস্থা তাদের সর্বশেষ উদ্ভাবন এখানে প্রর্দশন করেছেন। যেখানে অত্যাধুনিক সৌর ছাদের টাইলস থেকে শুরু করে নোনা মাটিতে সবুজায়নের পদ্ধতি সবই রয়েছে। রয়েছে হর্টিকালচারের সর্বশেষ ছাঁটাই কৌশল।
এখান থেকে পদ্ধতি জেনে নিয়ে যে কোন নাগরিক তৈরি করতে পারেন নিজের বাড়ির বাগান। জানতে পারবেন কোন গাছ দিয়ে নিজের ব্যালকনি বা বসার ঘর সাজাবেন, সিঁড়ি সাজাবেন, বাইরের দেয়াল বা ছাদ সাজাবেন এর পুরো নির্দেশনা।
এ মেলা নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টার্ডাম বিমানবন্দর থেকে ৩০ কিলোমিটার এবং শিফল বিমানবন্দর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আমস্টার্ডাম ও শিফল বিমানবন্দর থেকে বাসে, ট্রেনে ও ট্যাক্সিতে সহজেই ফ্লোরিয়েডা এক্সপোতে পৌঁছানো যায়। প্রবেশ ফি দিয়ে ভেতরে ঢুকতে হবে, ভেতরে রয়েছে ক্যাবল কারের ব্যবস্থা।