তার নাম মোহাম্মদ কফিলউদ্দিন মুহুরী (৪০), বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার গোপালঘাটা গ্রামে।
কুড়িয়ে পাওয়া অর্থের প্রকৃত মালিককে দীর্ঘদিন খুঁজে না পেয়ে অবশেষে তা দুবাই পুলিশের কাছে ফেরত দিয়ে সম্মাননা ও উপহার পান তিনি। খালিজ টাইমস ও গালফ নিউজসহ আরবি ভাষায় প্রকাশিত দেশটির বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় এ খবর ফলাও করে প্রচারিত হয়েছে।
দুবাই পুলিশের কমান্ডার ইন চিফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আব্দুল্লাহ খালিফা আল মাররির নির্দেশনায় নাইফ পুলিশ স্টেশনের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার তারিক মোহাম্মদ নূর আহলাক আমিরাতের ফ্ল্যাগ ডের দিন দুবাইয়ের নাইফ পুলিশ স্টেশনে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কফিলউদ্দিনকে তার অনুকরণীয় আচরণের জন্য সম্মাননা সনদ ও উপহার দেন।
কফিলউদ্দিন জানান, একবারও আমার মনে হয়নি এটা টাকার বান্ডিল হতে পারে। রাতে আমি সেটা খুলে পাঁচশ সৌদি রিয়ালের চকচকে নোটগুলো দেখি। তবে নোটগুলো আসল কিনা তা নিয়ে সন্দেহ ছিল।
রাতে বন্ধু নুরুল আবসারের সঙ্গে আলাপ করে মানি এক্সচেঞ্জে কাজ করেন এমন একজনের মাধ্যমে কফিল নিশ্চিত হন যে তা আসল টাকা। তিনি ঘটনাস্থলের পাশে রেস্টুরেন্টে খবর দেন, যদি কেউ এ অর্থের সন্ধানপ্রার্থী হন তাহলে যেন যোগাযোগ করা হয়।
টাকাটা রেখে দেওয়ার কথা কি আপনার একবারও মনে হয়নি? এমন প্রশ্নের উত্তরে এক সন্তানের পিতা কফিলউদ্দিন বলেন, “ছোডত্তুন মাইনশুর ফইসার উর খোন লোভ ন গরি, ফরর টেয়াদি কেও ডর মানুষ হইত নো ফারে অভাই, আরেকজনর টেয়া কিল্লেই রাইখতাম, এই শিক্ষা ফরিবারত নও ফাই।”
কফিল মনে করেন বাংলাদেশিরা সৎ ও পরিশ্রমী হিসেবে প্রবাসে পরিচিত, তার এ সততা বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের সুনাম আরও বাড়াবে।"
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |