ভ্রমণকাহিনী: মুসৌরির দিনগুলো

পাহাড়ের রানি 'মুসৌরি' ভারতের উত্তরখণ্ড প্রদেশের রাজধানী দেরাদুন থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত৷ ভয়ংকর পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথ দেরাদুন থেকে গাড়িতে আসতে প্রায় ২ ঘণ্টা সময় লাগে৷

সারোয়ার আহমেদ সালেহীনবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Jan 2020, 04:17 AM
Updated : 4 Jan 2020, 06:25 AM

ছোট্ট পাহাড়িকন্যা মুসৌরি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬ হাজার পাঁচশ ফুট উঁচুতে অবস্থিত৷ অনন্য সুন্দর পাহাড়ি শহর মুসৌরি ভারতের অন্য এলাকা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং কাউকে সহজেই আকৃষ্ট করে ৷ পাহাড়ের গা ঘেঁষে হাজার হাজার ঘরবাড়ি স্তরে স্তরে সেজে আছে যা সত্যিই অবাক করার মতো৷

এ শহরে প্রায় ৩৫ হাজার লোকের বসবাস৷ সারা বছর পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত থাকে পাহাড়ি রানি মুসৌরি৷ বিশেষ করে শীতের মৌসুমে৷ শীতকালে এখানকার তাপমাত্রা ১-৫ ডিগ্রির মতো থাকে যা কখনো মাইনাসে চলে যায় এবং তুষারপাতও হয়ে থাকে৷

সবুজে ঘেরা মুসৌরিকে প্রকৃতি অকৃত্রিমভাবে দুই হাত ভরে অপরূপ সৌন্দর্যে সাজিয়ে দিয়েছে যা পর্যটকদের আকৃষ্ট না করে পারে না৷ এখানকার স্থানীয় লোকজনও পর্যটনবান্ধব৷ বিভিন্ন ধরনের মজাদার খাবারসহ স্থানীয়ভাবে তৈরি বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর সমাহার এবং অন্যান্য সুবিধাদি স্বল্প খরচে পাওয়া যায়৷

রাতের ঝলমলে মুসৌরিকে সত্যিকারের পাহাড়ি রানির মতোই উজ্জ্বল দেখায়৷

পাহাড়ি এ ছোট্ট শহরে অবস্থিত ‘লাল বাহাদুর শাস্ত্রী জাতীয় অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যাকাডেমি’ যেখানে ভারতীয় ক্যাডার সার্ভিসের কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন ৷ বিখ্যাত এ অ্যাকাডেমিতে আমরা ৩০ জন বাংলাদেশি কর্মকর্তা দুই সপ্তাহব্যাপী মিড ক্যারিয়ার প্রশিক্ষণে এসেছি৷

মনোরম সুন্দর এ অ্যাকাডেমিতে সুযোগ-সুবিধা যেমন বিশ্বমানের তেমনি ফ্যাকালটিরাও বেশ মানসম্পন্ন৷  বর্তমান ও সাবেক ‘ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস’ (আইএএস), ‘ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস’ (আইপিএস) ও মিলিটারি অফিসারসহ খ্যাতনামা লোকজন এখানে ক্লাস নিয়ে থাকেন৷

অপরূপ সুন্দর এ পাহাড়ি এলাকা অনেকটা আমাদের পার্বত্য জেলাগুলোর সঙ্গে অনেক মিল রয়েছে৷ আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ বেয়ে ৬ হাজার পাঁচশ ফুট উপরে উঠা সত্যিই খুব ভয়ংকর৷ সবুজে ঘেরা মনোরম সুন্দর এ অ্যাকাডেমির সৌন্দর্য যেমন উপভোগ্য তেমনি হিল টপ থেকে পাহাড়ি শহর মুসৌরিকে দেখলে ‘পাহাড়ের রানি’ বলেই মনে হবে ৷

লেখক পরিচিতি: অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, খুলনা

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!