ফলে নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে রোববার জেবিবি এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত পথমেলাটি পরিণত হয়েছিল কমিউনিটির মেলবন্ধনের সমাবেশে।
পথমেলার সমাবেশ চলাকালীন বিভক্ত জেবিবিএ-র কর্মকর্তারা একসাথে মঞ্চে উঠে বিপুল করতালির মধ্যে ঐক্যের ঘোষণা দেন।
আর এর মধ্যদিয়েই বহুজাতিক নিউ ইয়র্কে প্রবাসীদের এগিয়ে চলার পথ সুসংহত হলো বলে মেলায় উপস্থিত স্টেট সিনেটর, স্টেট অ্যাসেম্বলিম্যান, সিটি কাউন্সিলম্যান এবং ডেমক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডাররা মন্তব্য করেন।
ডেমক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার ও ইউএস সুপ্রিম কোর্টের অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী বলেন, “নানাবিধ কারণে অভিবাসী সমাজে হতাশা বিরাজ করছে, চরম এক আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে অভিবাসনের মর্যাদাহীনরা। এ অবস্থায় ঐক্যের বিকল্প নেই। জেবিবিএর মত একটি বড় সংগঠনের অনৈক্য দূর হবার সুফল প্রকারান্তরে সাধারণ প্রবাসীরাই পাবেন।”
ঐক্যের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আবুল ফজল দিদারুল ইসলাম এবং কামরুজ্জামান কামরুলের নেতৃত্বাধীন কমিটি এখন আরও জোরালোভাবে সাংগঠনিক কর্মকান্ডে মনোনিবেশ করতে পারবেন।
এ কমিটির সাথে একীভূত হয়েছে শাহনেওয়াজ ও মাহাবুবুর রহমান টুকুর নেতৃত্বাধীন জেবিবিএ।
শাহনেওয়াজ পথমেলা মঞ্চে উঠে অনৈক্য ভুলে যাবার ঘোষণা দেওয়ার সময় জেবিবিএ-র সব স্তরের নেতারাও সেখানে ছিলেন। ঐক্য প্রক্রিয়ার সমন্বয় করেন হারুন ভূইয়া এবং ফাহাদ সোলায়মান।
বিনা টিকিটের এই মেলায় খ্যাতনামা শিল্পীদের পরিবেশনায় আপ্লুত প্রবাসীরা ঘরে ফিরেছেন পছন্দের কেনাকাটাসহ ঐক্যের প্রক্রিয়ায় শরিক হবার প্রচণ্ড সন্তুষ্টিসহ।
এটি ছিল জেবিবিএ-র পথমেলা। আর এ মেলাতেই দেশবরেণ্য শিল্পীদের এই সমাগমের জন্যে সকলে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জেবিবিএর সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদসহ মেলা কমিটির সব কর্মকর্তাদেরকে।
মেলায় শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলেন নিউ ইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন ল্যু, স্টেট অ্যাসেম্বলি সদস্য ক্যটালিনা ক্রুজ, সিটি কাউন্সিলম্যান ডোনাভান জে রিচার্ডস, মূলধারায় জনপ্রিয় সংগঠক মাজেদা এ উদ্দিন, স্থানীয় পুলিশ প্রেসিঙ্কটের কমিউনিটি অ্যাফেয়ার্স অফিসার মারিয়ো এবং বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সেক্রেটারি ফখরুল আলম।
পুরো আয়োজন পরিচালনা ও সমন্বয়ে ছিলেন মেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী ফাহাদ সোলায়মান এবং সদস্য সচিব মোহাম্মদ আলম নমী, যুগ্ম সদস্য সচিব বিপ্লব সাহা, কামরুজ্জামান বাচ্চু, শাহজাদা ইলিয়াস, যুগ্ম আহবায়ক নূরল আমিন বাবু, কোষাধ্যক্ষ সেলিম হারুন প্রমুখ নেতারা।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন মেলা কমিটির কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন এবং রুহুল আমিন সরকার। স্থানীয় শিল্পীদের মধ্যে নাচ ও গানে আরও ছিলেন রোকসানা মির্জা, কামরুজ্জামান বকুল, শায়রা রেজা, জেরিন খান, সিমরান খান, নীলা এবং শিশুশিল্পী শৌভিত চৌধুরী। মেলামঞ্চে উঠে প্রবাসীদের ঐক্যের বন্ধনে জেগে উঠার জন্যে অভিনন্দন জানান বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতারা।
মেলায় এসেছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার আব্দুর রহিম হাওলাদার, সোসাইটির নির্বাচনে সেক্রেটারি প্রার্থী ও কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার মোহাম্মদ আলী। সাড়ে ২৭ হাজার ভোটারের সমন্বয়ে বাংলাদেশ সোসাইটির আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী কাজী নয়নও ছিলেন সরব। স্থানীয় ডেমক্র্যাটিক পার্টির নেতা অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী এক পর্যায়ে বেবী নাজনীনের গানের সাথে মঞ্চে উঠে কণ্ঠ মিলিয়েছেন।
মেলায় বিপুলভাবে সাড়া দেওয়ায় প্রবাসীদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন জেবিবিএ-র সভাপতি আবুল ফজল দিদারুল ইসলাম, সেক্রেটারি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান কামরুল, মেলা কমিটির আহ্বায়ক হারুন ভূইয়া এবং সদস্য-সচিব মো. নমী।
প্রবাসের সবচেয়ে বড় ও জমজমাট এ মেলায় মিডিয়া পার্টনার ছিল চ্যানেল আই এবং বাংলাদেশ প্রতিদিন ও সাপ্তাহিক ঠিকানা।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |