আগামী বছর জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে দেশটির নেভাদা অঙ্গরাজ্যের শহর লাস ভেগাসে অনুষ্ঠেয় তিন দিনব্যাপী ‘৪০তম' বঙ্গ সম্মেলন’ উপলক্ষে এ আয়োজন করেছেন তারা।
২৮ জুন নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত ‘কিক-অব বাংলাদেশ’ শিরোনামে এক অনুষ্ঠান থেকে এসব তথ্য জানায় আয়োজক সংগঠন ‘বঙ্গ সংস্কৃতি সংঘ’।
‘বঙ্গ সম্মেলন’ এর আহ্বায়ক মিলন আওন বলেন, “২০২০ সালে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও সঙ্গীতজ্ঞ রবিশংকরের জন্মশতবার্ষিকী। এ উপলক্ষে আমরা তিন কিংবদন্তীর জীবন ও কর্ম নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করছি। অনুষ্ঠানের তিনটি মঞ্চ তাদের নামে নামকরণ করা হচ্ছে।”
মিলন আওন আরও জানান, সম্মেলনের সবচেয়ে বড় মঞ্চটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে করা হচ্ছে। এ মঞ্চে ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে বঙ্গবন্ধুকে উপস্থাপন করা হবে। নাচ, গান, আবৃত্তি, অভিনয় ও কথামালায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এ পরিবেশনায় অংশ নেবেন দেশ ও প্রবাসের শতাধিক শিল্পী।
এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও সজীব ওয়াজেদ জয়সহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
হাসানুজ্জামান সাকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা, কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাতনি সঙ্গীতশিল্পী অনিন্দিতা কাজী, ব্যান্ডদল মাইলসের হামিন আহমেদ, অভিনয়শিল্পী মেহের আফরোজ শাওন, আলোকচিত্রী নাসির আলী মামুন, বঙ্গ সংস্কৃতি সংঘের উপদেষ্টা প্রবীর রায়, সভাপতি দিলীপ চক্রবর্তী ও বঙ্গ সম্মেলনের সহযোগী বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ‘বায়েস্কোপ ফিল্মসের’ প্রধান কার্যনির্বাহী রাজ হামীদ।
অনুষ্ঠান শুরু হয় রবীন্দ্রসঙ্গীতের ফিউশন দিয়ে। এর সঙ্গে ফ্যাশন ডিজাইনার পিয়াল হোসেনের পরিচালনায় ফ্যাশন শো-তে অংশ নেন দেশি-বিদেশি ছয়জন মডেল। এরপর বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টসের (বাফা) শিল্পীরা রবীন্দ্র ও নজরুলের গানে দুটি নাচ পরিবেশন করেন। গান শোনান সঙ্গীতশিল্পী শাহ মাহবুব, শেখ নীলিমা শশী ও তানভীর শাহীন। সেতার বাজান মোর্শেদ খান অপু, তাকে তবলায় সহযোগিতা করেন তপন মোদক।
এদিকে এবছরের সেপ্টেম্বরে ‘বঙ্গমেলা’ আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আরও কিছু বাঙালি। এর সভাপতি হচ্ছেন বাংলাদেশের মাহবুব রেজা রহিম ও সাধারণ সম্পাদক ভারতের সংঘ মিত্র।
তাদের ‘বঙ্গমেলা’ ২০ বছর ধরে অনুষ্ঠিত হলেও সেখানে বাংলাদেশ সরকারের কোন অর্থ সহায়তা নেই অভিযোগ করে মাহবুব রেজা রহিম বলেন, “কয়েক বছর আগে হিউস্টনে অনুষ্ঠিত কথিত ওই বঙ্গ সম্মেলনে জাদুশিল্পী জুয়েল আইচকে আনা হয়েছিল। জুয়েল আইচের জাদু প্রদর্শনের ব্যবস্থা হয় ছোট্ট একটি মিলনায়তনে। অপরদিকে একই সময়ে মূলমঞ্চে শ্রেয়া ঘোষালের অনুষ্ঠান চালানো হয়। এভাবেই অবজ্ঞা-অবহেলা করা হয় বাংলাদেশের বাঙালিদের।”
কলকাতার বাঙালি-সংগঠক পার্থ ব্যানার্জি বলেন, “বঙ্গ সম্মেলনে কখনোই বাংলাদেশের বাঙালিদের গুরুত্ব দেওয়া হয় না। কলকাতার সাধারণ বাঙালিদেরও তেমন সম্পৃক্ততা নেই কথিত এ বঙ্গ সম্মেলনে।”
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |