নিউ ইয়র্কে ঈদ আড্ডায় মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ঈদ আড্ডা দিয়েছেন অঙ্গরাজ্যটিতে বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা।

স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কে চ্যানেল আই অফিসে এ আড্ডার আয়োজন করেন যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ।

‘আমেরিকা বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের’ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক লাবলু আনসারের সঞ্চালনায় এ আড্ডায় অতিথি ছিলেন মানিবাধিকার সংগঠক পার্থ ব্যানার্জি, বাংলাদেশ সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শাহজাহান মৃধা ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের ফার্স্ট সেক্রেটারি (প্রেস) নূরএলাহি মিনা।

আরও উপস্থিত ছিলেন কণ্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায় ও শহীদ হাসান, যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বারি, সংগঠনের সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার চুন্নু ও হারুন ভূইয়া, যুব সম্পাদক ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির তৃণমূলের সংগঠক ফাহাদ সোলায়মান, নারী বিষয়ক সম্পাদক সবিতা দাস, সাংস্কৃতিক সম্পাদক উইলি নন্দি, প্রচার সম্পাদক শুভরায়, জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক এনাম, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মো. আবুল কাশেম, সাংগঠনিক সম্পাদক কানু দত্ত, ফটো সাংবাদিক শাহ জে চৌধুরী, বাংলাদেশ সোসাইটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক মনিকা রায়, তবলা বাদক তপন মোদক, কণ্ঠশিল্পী শাহ মাহবুব, পাপিমন ও প্রিয়াঙ্কা।

পার্থ ব্যানার্জি জানান, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ইংরেজি ভাষায় আরো বেশি লেখালেখি হওয়া দরকার। গত সাড়ে ৪ দশকে যা হয়েছে তা কোনক্রমেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আস্থার স্থান করে নিতে পারেনি। নিজেদের ভাষায় নিজেদের মধ্যে বাংলাদেশ অভ্যূদয়ের ইতিহাস সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। তথ্য-প্রযুক্তির সুযোগ নিয়ে তা ছড়িয়ে দিতে হবে সব ভাষার মানুষের কাছে।

নূরএলাহি মিনা বলেন, “২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি আদায়ের পথে আমরা অনেকটা এগিয়েছি। সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে জাতিসংঘে। সে কাজ করতেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সবিস্তারে আন্তর্জাতিক বন্ধুদের কাছে উপস্থাপন করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রবাসীদেরও গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে বাংলাদেশি-আমেরিকানরা নিজ নিজ সিনেটর-কংগ্রেসম্যানের কাছে এ নিয়ে দেন-দরবার করতে পারেন।”

মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট ও স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের পক্ষ থেকেও চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মৃধা।

এসময় আভিযোগ করা হয়, নিউ ইয়র্কে বেশ কয়েকটি মিডিয়া হাউজে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসই শুধু বিকৃতির অপচেষ্টা চলছে না, একইসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকসহ তার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চরিত্র হননের সংঘবদ্ধ একটি চেষ্টা সক্রিয় রয়েছে। অতি সম্প্রতি নিউ ইয়র্কের একটি গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপণের লেবাসে বাংলাদেশের জাতির জনক ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ধৃষ্টতা দেখানো হয়েছে।

আড্ডার দ্বিতীয় পর্বে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি জাগানিয়া গান শোনান রথীন্দ্রনাথ রায়। জনপ্রিয় সব গানে অংশ নেন শহীদ হাসান, শাহ মাহবুব, সবিতা দাস, পাপিমন ও মনিকা রায়।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [e-mail]। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!