দেশের কবরস্থান দিয়েই গল্প শুরু করি। দেশের এক কবরস্থানে একবার দেখলাম মৃতমানুষদের হাড্ডি-গুড্ডি কবরের উপর পরে আছে। কবরে গর্ত। অপরিষ্কার জরাজীর্ণ অবস্থা। সেখানে দিনেরবেলায় যাওয়ার সাহস হয়তো মানুষে পান না। যদি কেউ রাতেরবেলা কবরস্থান ঘুরে আসতে পারেন তাহলে তাকে সাহসী মানুষ হিসেবেই ধরা হয়।
আমার দাদা মারা গেছেন হয় বিশ বছর। দাদি গেছেন গত বছর। একসঙ্গে দুজনের নিশ্চয়ই ভালোই কাটছে এখন। বিশ বছরের ঘটে যাওয়া সব ঘটনা সব গল্পকথা এই একবছরে দাদি দাদাকে বলে শেষ করেছেন নিশ্চয়ই!
জার্মানিতে প্রত্যেক শনি রোববার মানুষ যান কবরপাড়ায়। কেউ কেউ প্রতিদিনই যান। ঝাড়ু দেন, লণ্ঠন জ্বালিয়ে আসেন। ফুল দিয়ে আসেন। ফুলগাছে পানি দিয়ে আসেন। ছোটদের কবরে খেলনাসামগ্রী, পুতুল দেন অনেকে।
মাঝখানে গলি। গলির দুই পাশে উঁচু দেয়ালের মতো। দেয়ালের মধ্যে কবর। যত যাই গলি পথ ফুরায় না। কতো কবর এখানে। কয়েক হাজার কবর হবে। সবগুলোতেই নামফলক আছে। মৃত মানুষটির ছবি লাগানো আছে। পরিবারের লোকজন আসছেন ফুল নিয়ে। মনে রাখছেন তারা কবরজগতের এই আপনজনদের।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |