সুইডেনের স্টকহোম থেকে বাংলাদেশে ফেরার পথে আমিরাতে রাজধানী আবুধাবিতে সোমবার এক যাত্রাবিরতি দেন তিনি। সেখানেই তাকে সম্বর্ধনা দেন স্থানীয় প্রবাসীরা।
এসময় তিনি স্কুলের ছাত্র শিক্ষকদের সাথে তার বিশ্ব ভ্রমণের গল্প ও আড্ডায় মেতে ওঠেন। শিক্ষার্থীরা তাকে কাছে পেয়ে অটোগ্রাফের জন্য ঘিরে ধরে।
তাদের আহ্বানে সাড়া দিতে যেয়ে নাজমুন বলেন,"এই নতুন প্রজন্মের মধ্যে আমি স্বপ্নের বীজ বুনতে চাই, ওরা একেকজন শান্তির দূত হয়ে, কালচারাল অ্যাম্বাসেডর হয়ে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের পতাকাকে উড্ডীন রাখুক। দেখিয়ে দিক,আমরাও পারি।"
এরপর আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতালয়ে পৌঁছালে নাজমুন নাহারকে স্বাগত জানান শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স শহীদুজ্জামান ফারুকী ও দূতাবাস কর্মকর্তারা। এখানে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে নাজমুন গাড়িতে বসেই মধ্যাহ্ন ভোজ সারতে সারতে রওনা দেন দুবাইয়ের পথে।
নাজমুন বলেন, ''আমার সবাই একই পৃথিবীর মানুষ। একই শেকড় থেকে আমাদের জন্ম! একই সূর্যের আলো আমাদের, একই আকাশের নিচে আমরা বসবাস করি! আমাদেরকে ধর্ম, বর্ণ, মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে যেয়ে বিশ্ব শান্তির কথা ভাবতে হবে!''
এসময় নাজমুন তার ব্যাগে বহু যত্নে রাখা লাল সবুজের পতাকাটাকে মেলে ধরে বলেন,
"অ্যাই দেখ আমার বাংলাদেশ...!’
বাংলাদেশের লক্ষীপুরের মেয়ে নাজমুন নাহার সুইডেনের এস্কিলস্টুনা থাকেন। তার ইচ্ছে বাংলাদেশের পতাকাকে জাতিসঙ্ঘের স্বীকৃ্তিপ্রাপ্ত সবগুলো দেশে পৌঁছে দেওয়া। সেই লক্ষ্যে ২০০০ সালে দেশ ঘোরার মিশন শুরু করেন তিনি। এ পর্যন্ত ১২৫টি দেশ ঘুরেছেন তিনি।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |