এ দিবসটির প্রবক্তা নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশি অ্যাক্টিভিস্ট মাজেদা এ উদ্দিন এবং কর্মসূচির উদ্যোক্তা প্রবাসী বাংলাদেশি নাজমা খান ।
এবারের হিজাব দিবসের স্লোগান হচ্ছে ‘হিজাব ইজ মাই ফ্রিডম’, ‘হিজাব ইজ মাই প্রটেকশন’, ‘হিজাব ইজ মাই চয়েস’, ‘হিজাব ইজ মাই কভার’ ইত্যাদি।
মাজেদা এ উদ্দিন জানান, এবারও সিটি হলের বারান্দায় ওইদিন স্থানীয় সময় সকালে আগ্রহীরা জড়ো হবেন। মিলিত হবেন সংবাদ সম্মেলনে। দাবি জানাবেন হিজাববিরোধী মনোভাব পরিহারের, ধর্ম ও জাতিগত বিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার।
মাজেদা বলেন, “কয়েক বছর আগে নাজমা খান নামক এক বাংলাদেশি ছাত্রী জ্যামাইকায় আক্রান্ত হন। বাংলাদেশি পোশাকে তিনি পথ পাড়ি দিচ্ছিলেন বলেই বিদ্বেষমূলক আচরণের কবলে পড়েন। সেই ঘটনার প্রতিবাদ, নিন্দা ও সর্বসাধারণকে সচেতন করার লক্ষ্যে শুরু হওয়া হিজাব ডে এবারই উদযাপিত হবে ওই একই চেতনায়। কারণ, এখনো ধর্মীয় পোশাক, জাতিগত কারণে বৈষম্যের ঘটনা ঘটছে।
“যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান প্রদত্ত অধিকার খর্ব করার বিরুদ্ধে নিরবতা অবলম্বনের সুযোগ নেই। ন্যায় বিচারের স্বার্থে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। হিজাব ডে-তে সে সুযোগ দেয় সব অধিকার সচেতন মানুষকে। আপনি কোন ধর্মের-বর্ণের-গোত্রের, সেটি বড় কথা নয়, আপনি একজন মানুষ- এ চেতনায় জড়ো হউন হিজাব ডে’র কর্মসূচিতে।”
‘বিশ্ব হিজাব দিবস’ কিভাবে চালু হলো এ সম্পর্কে মাজেদা বলেন, “আমরা নিউ ইয়র্ক স্টেট পার্লামেন্টে ‘ওয়ার্ল্ড হিজাব ডে’ এর দাবি জানিয়েছিলাম। ২০১৬ সালে সে বিল উঠিয়েছিলেন স্টেট সিনেটর রোকসানা জে পারসুয়াদ। সেটি পাশ হয়েছে, ‘জাতীয় সিলেব্রেশন ডে’ হচ্ছে ‘ওয়ার্ল্ড হিজাব ডে’ শিরোনামে।
বিশ্ব হিজাব দিবসের সঙ্গে ইতিমধ্যে সংহতি প্রকাশ করেছেন ৪৫ দেশের ৭০ জনের বেশি রাষ্ট্রদূত, রাজনীতিকসহ গণমাধ্যম টাইম ম্যাগাজিন ও সিএনএন।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |