স্থানীয় সময় শুক্রবার নিউ ইয়র্কের জ্যামাইকায় এ প্রদর্শনীতে তাকে অভ্যর্থনা জানান যুক্তরাষ্ট্রে দেবী ছবির ডিস্ট্রিবিউটর প্রতিষ্ঠান ‘বায়োস্কোপ ফিল্মস’ এর কার্যনির্বাহী রাজ হামীদ ও নওশাবা রশীদ রুবনা।
৩১ ফুট লম্বা হামার এইচ-টু লিমোজিনে করে সেখানে উপস্থিত হয়ে দর্শকদের সঙ্গে ছবিটি উপভোগ করেন জয়া আহসান, তাদের সঙ্গে আড্ডা দেন ও ছবি তোলেন।
এরপর তিনি লং আইল্যান্ডের একটি ফাইভ স্টার ব্যাংকুয়েট হলে রেড কার্পেট সংবর্ধনায় যোগ দেন।
সাংবাদিক হাসানুজ্জামান সাকীর সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন ও নিউ ইয়র্কের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা।
জয়া যখন রেড কার্পেটে পা রাখেন তখন অনুপম রায়ের কথা, সুর ও কণ্ঠে ‘দেবী’ ছবির ‘দুমুঠো বিকেল’ গানটি বেজে উঠে। দুপাশে আমন্ত্রিত অতিথিদের অভিনন্দন আর শুভেচ্ছার জবাব দিতে দিতে সংবর্ধনা মঞ্চে আসেন জয়া।
শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে ও চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের মৃত্যুতে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
দেবী ছবির সাফল্যে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী দর্শকদের ধন্যবাদ জানিয়ে জয়া বলেন, “বাংলাদেশের চলচ্চিত্র তার হারানো গৌরব ফিরে পাচ্ছে। বিদেশেও বাংলা ছবির দর্শক সৃষ্টি হচ্ছে। চলচ্চিত্রের জন্য এটি বিরাট ইতিবাচক দিক।”
জয়া আরও বলেন, “দেশে এখন অনেক ভালো ছবি নির্মাণ হচ্ছে। তবে ব্যক্তিবিশেষের চেয়ে বাংলাদেশের সরকারই চলচ্চিত্রের বড় পৃষ্ঠপোষক। সুস্থ-সুন্দর চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকার ন্যূন শর্তে অনুদান দিচ্ছে যা আমাদের চলচ্চিত্রকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নেবে।”
নওশাবা রশীদ রুবনা বলেন, “নিউ ইয়র্কে প্রথম দুই সপ্তাহে প্রায় ৫০ হাজার ডলার আয় করেছে দেবী। তবে পুরো হিসাব এখনও পাওয়া যায়নি। অন্যান্য শহরেও দেবী ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।”
মাসুদ বিন মোমেন ‘দেবী’ দেখার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, “বাংলাদেশের গণহত্যা বা ইতিহাসের বৃহৎ প্রেক্ষাপট নিয়ে ছবি নির্মাণ হলে তা বিশ্ব দরবারে প্রদর্শনের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।”
সাদিয়া ফয়জুন্নেসা বলেন, “জয়া আহসান দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি পেয়েছেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গেও সমান জনপ্রিয়। জয়া দেশের একজন শুভেচ্ছাদূত।”
এরপর ভারতীয় পরিচালক কৌশিক গাঙ্গুলীর পরবর্তী ছবি ‘বিজয়া’ এর প্রমোশনে অংশ নেন জয়া আহসান, ছবিটিতে তিনি মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |