স্থানীয় সময় রোববার চোসান ইউনিভার্সিটির মেডিকেল সায়েন্স ভবনে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়াংজুতে অবস্থিত চোন্নাম ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, চোসান ইউনিভার্সিটি ও গোয়াংজু ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজির (জিআইএসটি) বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা এবং বিভিন্ন পেশাজীবী বাংলাদেশি নাগরিকরা উদযাপন করে নিজ মাতৃভূমি বাংলাদেশর ৪৭ তম বিজয় দিবস।
চোন্নাম ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির যোগাযোগ বিষয়ের পিএইচডি শিক্ষার্থী মো. আশরাফুল আলম এর উপস্থাপনায় জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর মাধ্যমে শুরু হয় মূল আলোচনা সভা। এই সময় সবাই গভীর আবেগ নিয়ে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানান।
অনুষ্ঠানস্থল যেন হয়ে ওঠে দেশের মানচিত্রের বাইরে কোথাও ফুটে উঠা এক টুকরা বাংলাদেশ। এই দৃশ্য অনুষ্ঠানে আগত অন্যান্য দেশের নাগরিকদেরও মন ছুঁয়ে যায়।
আলোচনা সভায় চোসান ইউনিভার্সিটির পিএইচডি শিক্ষার্থী আরিফা ফেরদৌসি, মো. হাসানুল বান্না, মাস্টার্স শিক্ষার্থী শামসুদ্দিন খোকন, চোন্নাম ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পিএইচডি শিক্ষার্থী মো. সাইফুল ইসলাম, এক্সপেরন গলফ কোম্পানি লিমিটেড এর সহকারী ব্যবস্থাপক সম্রাট আহমেদসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন ।
বক্তারা বিজয় দিবসের ইতিহাস, তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন সমস্ত মুক্তিযোদ্ধাদের। তারা নতুন প্রজন্মের কাছে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রকৃত সত্য তুলে ধরার জন্য নিজ নিজ অবস্থানের ওপর জোর দেন।
সম্রাট আহমেদ তার বক্তব্যে বিভিন্ন দেশে অবস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা কিভাবে নিজ নিজ কাজের মাধ্যমে দেশের কল্যাণে অবদান রাখতে পারে সেই বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য প্রশংসা করেন।
গোয়াংজু ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির পোস্ট ডক্টরাল রিসার্চার শামসুদ্দিন আহমেদ হাসনাত এর সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয় আলোচনা সভা। তিনি তার সমাপনী বক্তব্যে যুদ্ধের সময় সহযোগিতার জন্য ভারতকে ধন্যবাদ দেন এবং এই বিজয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নানা দূরদর্শী সিদ্ধান্তের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেন।
অন্য দেশের সংস্কৃতিকে সম্মানের পাশাপাশি নিজ দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ধরে রেখে দেশের কল্যাণে কাজ করে যাবার জন্য বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
হালিমা বেগম এর রান্না করা সুস্বাদু বাঙ্গালি খাবার পরিবেশনের পরেই শেষ হয় বিজয় দিবসের আলোচনা সভা।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |