দেশি পোশাকশিল্প নিয়ে গবেষণা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সম্মানিত  

বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের গবেষণাপত্র সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত এক সিম্পোজিয়ামে ‘বেস্ট পিএইচডি পেপার’ এর সম্মাননা পেয়েছে।

প্রবাস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Oct 2018, 03:21 PM
Updated : 18 Oct 2018, 03:21 PM

ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিত ‘২৩তম ইন্টারন্যাশনাল সিম্পোজিয়াম অব লজিস্টিক’ শিরোনামে আন্তর্জাতিক ওই সম্মেলনে গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক রেজাউল সুমন।

পোশাক শিল্পের ‘এনভায়রনমেন্টাল সাস্টেইনেবিলিটি’ নিয়ে এই গবেষণার তত্ত্বাবধান করেন মেলবোর্নের আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি অধ্যাপক শামস্ রহমান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “সুমনের এই গবেষণায় পোশাক শিল্পে পরিবেশবান্ধব স্থিতি অর্জনের উপায় উঠে এসেছে। এর আগে গবেষক সুমন এই সেক্টর সরাসরি কাজ করার সুবাদে এনভায়রনমেন্টাল কমপ্লায়েন্স সম্পর্কিত বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করেছেন। তখন তিনি নিবিড়ভাবে দেখেছেন, তৈরি পোশাক শিল্পের পরিবেশ-বান্ধবতা বিদেশি ক্রেতাদের চাহিদাগুলো বাংলাদেশি গার্মেন্ট মালিকদের কাছে কীভাবে কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে দাঁড়ায়।”

“বাংলাদেশি গার্মেন্ট মালিকরা ভিন্ন ভিন্ন ক্রেতা থেকে ভিন্ন ভিন্ন রকম স্ট্যান্ডার্ড নেওয়ার অনুরোধ পেয়ে থাকেন। যেমন- লিড প্লাটিনাম, গোটস, অরগানিক কটন ইত্যাদি। শুধু তাই নয়, এই স্ট্যান্ডার্ডগুলো নিলে কতো দ্রুত তা পূরণ করা যাবে তাও তারা নিশ্চিত নন, কারণ ক্রেতারা সবচেয়ে আপডেটেড স্ট্যান্ডার্ড চান। গবেষক তার গবেষণার মাধ্যমে একটি মডেল ডেভেলপ করে দেখিয়েছেন কীভাবে বাংলদেশি কোম্পানিগুলো ‘ডাইনামিক ক্যাপাবিলিটি’ অর্জনের মাধ্যমে এর সমাধান পেতে পারেন।”

তিনি আরও বলেন, “গবেষক তার গবেষণায় দেখিয়েছেন, কীভাবে ক্রেতা এবং বিক্রেতা বা সাপ্লায়ারদের সুসম্পর্ক এক্ষেত্রে কতোটুকু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।”

দুই বছর আগেও বাংলাদেশি অধ্যাপক শামস্ রহমানের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আরেকটি ‘২১তম ইন্টারন্যাশনাল সিম্পোজিয়াম অব লজিস্টিক’ সেরা গবেষণার স্বীকৃতি পায়।

তাইওয়ানের কাউশিয়ং শহরে অনুষ্ঠিত ২১তম সম্মেলনে আরএমআইটির আরেক গবেষক আশ্বিনি ইয়াদলাপাল্লির উপস্থাপিত গবেষণাপত্রের বিষয়বস্তু ছিল- পোশাকশিল্পে সোশ্যাল সাসেট্ইনেবিলিটি অর্জনের জন্য কী ধরনের ব্যবস্থাপনা, যেমন- ‘গুড গভরনেন্স’ অপরিহার্য।   

শামস্ রহমান জানান, দুটি গবেষণাতেই উল্লেখ করা হয়েছে তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশ খুব অল্পদিনের মধ্যেই কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, মায়ানমার ইত্যাদি দেশগুলো প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠছে এবং তারা খুব দ্রুত সোশ্যাল এবং এনভায়রনম্যানটাল সাস্টেইনেবিলিটি অর্জনের মাধ্যমে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হচ্ছে। সুতরাং পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে বাংলাদেশকে সাসটেইনেবিলিটি অর্জনের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।

তিনি বলেন, “এই দুটি গবেষণার ফলাফল বাংলাদেশকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে।”

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!