একটাই উদ্দেশ্য- বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা যেন উৎসাহ পান, মনে করতে পারেন যেন তারা দেশের মাটিতেই খেলছেন। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে দাপটে খেলে আমিরাতের ক্রিকেটপ্রেমী দর্শকদের মনে যে অদ্ভুত এক আশার পিদিম জ্বেলেছিল টাইগাররা, ভারত আর আফগানিস্তানের সঙ্গে ততটাই মনোভঙ্গের কারণ হয়েছেন তারা। তবু বাঙালি নিত্য বৈরী প্রকৃতির সঙ্গে অবিরাম যুদ্ধ করে জিতে যাওয়ার জাতি।
শুক্রবার আবুধাবি ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ভারত-বাংলাদেশের খেলা দেখতে এসেছিলেন আবুধাবি ওয়াটার ইলেক্ট্রিসিটি ডিপার্টমেন্টে কর্মরত প্রকৌশলী মোহাম্মদ আফজাল। ২৫ বছরের প্রবাস জীবনে এ প্রথম বাংলাদেশের খেলা দেখছেন।
বাংলাদেশি মুজিব, সোলায়মান ও মুসা এসেছেন আবুধাবি ওয়েস্টার্ন রিজিয়নের বিদা যায়েদ থেকে। বাংলাদেশি মালিকানাধীন সালেহ গ্যারেজে কেউ অটোমেকানিক কেউ ড্রাইভার। বাংলাদেশের খেলা আছে দেখতে চান বলাতে কোম্পানি মালিক ছুটি দিলেন। খেলার খারাপ দশা দেখে দূরের পথ তাই ৩০ ওভার না যেতেই ছাড়লেন স্টেডিয়াম।
আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে কাজ করেন সদা হাস্যোজ্জ্বল তরুণ লেখক ফরহাদ হোসেন। গায়ে লাল সবুজের পতাকা জড়িয়ে বিমর্ষ চিত্তে বসেছিলেন। বললেন, “বুকভরা আশা নিয়ে আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। কিন্তু বিধিবাম, তাই টাইগারদের ব্যাটিং ব্যর্থতার সাক্ষীগোপাল হয়ে বসে রইলাম, পাশের দর্শক এরমধ্যে হতাশ হয়ে বাড়ি ফেরার রাস্তা ধরেছে।”
আরেক প্রবাসী জসিম উদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, “ক্রিকেট আমাদের আবেগের সবটুকু যায়গা নিয়ে নিয়েছে। মাঠে হাজারো দর্শকের চোখের কোণে পানি, কাঁদো কাঁদো চোখ সে ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ।”
তাই দলের অপ্রত্যাশিত পরাজয়ের পরও তারা বুকে পাথর বেঁধে, চোখের জল মুছে বাড়ি ফেরার আগে আবুধাবি ক্রিকেট স্টেডিয়ামটা পরিষ্কার করে দিয়ে গেলেন। হৃদয়ে বাংলাদেশকে ধারণ করে তারা দেশের জয়েও থাকেন পরাজয়েও থাকেন, আবার নতুন কোনো জয়ের আশায়।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |