নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় সোমবার সকালে নিজ হাতে তৈরি ওই আত্মঘাতি বিস্ফোরণে আহত হয়ে পুলিশের হাতে আটকের পর আকায়েদ উল্লাহর বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বিকালেই নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টে কর্মরত তিন শতাধিক বাংলাদেশি অফিসারের সংগঠন বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) এক সংবাদ সম্মেলন করে।
জ্যাকসন হাইটসের একটি মিলনায়তনে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে বাপার প্রেসিডেন্ট লেফটেনেন্ট শামসুল হক বলেন, “সকল ধর্ম, বর্ণ এবং জাতিগোষ্ঠির মধ্যেই কিছু বাজে লোক রয়েছে। সেজন্যে ওই সম্প্রদায়ের সবাইকে ‘দুষ্ট’ হিসেবে মনে করার কোনও কারণ থাকতে পারে না। তাই সকলে যেন সতর্কতার সাথে স্বাভাবিক জীবন-যাপন অব্যাহত রাখেন।”
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউ ইয়র্কের সভাপতি কামাল আহমেদ বলেন, “এমন আচরণে লিপ্ত কোনও ব্যক্তি আমাদের সমর্থন কখনো পাবে না। আমরা সব সময় ওদের প্রত্যাখান করেছি। আকায়েদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, সে যদি সত্যিকার অর্থেই অপরাধী হয় তাহলে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই আমরা সকলেই।”
যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার রাজনীতির সাথে জড়িতরা আকায়েদের এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনায় কোনওভাবেই পুরো বাংলাদেশি কমিউনিটিকে দায়ী মনে করছেন না।
নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের পার্লামেন্টের সদস্য ডেভিড ওয়েপ্রিন বলেন, “আকায়েদের সন্ত্রাসী কর্মের দায় জাতিগতভাবে বাংলাদেশিরা কখনওই নিতে পারে না। সন্ত্রাসীর কোনও জাত, ধর্ম বা গোষ্ঠী পরিচয় নেই। ওরা সন্ত্রাসী, মানবতা ও সভ্যতার শত্রু।”
সংবাদ সম্মেলনে নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ইশরাত সামী, মাজেদা এ উদ্দিন, রুহুল আমিন সিদ্দিক, ময়নুল ইসলাম, তারেক হাসান খান, আব্দুর রহিম হওলাদার, আব্দুল হাই জিয়া, কামাল ভূঁইয়া, সিটি মেয়রের প্রতিনিধি সারা সাঈদ এবং যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ প্রমুখ।
এ ধরণের সন্ত্রাসী কাজের প্রেক্ষিতে নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের সদর দপ্তরের উদ্ধৃতি দিয়ে কম্যুনিটি লিডার কাজী আজম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আকায়েদ উল্লাহর আচরণের পরিপেক্ষিতে কেউ যদি কোন বাংলাদেশির সাথে অশোভন আচরণ কিংবা কোন গাল-মন্দ করে তাহলে সাথে সাথে যেন হট লাইনে ফোন করে জানানো হয়। পুলিশের হটলাইন : ১-৮০০-৬৯২-৭২৩৩।”
ক্ষোভ ও শাস্তির দাবি
আকায়েদের আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ এবং প্রচলিত আইনে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রবাসীরা।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |