মার্কিন কংগ্রেসে লড়ছেন নীনা আহমেদ

বাংলাদেশি-আমেরিকান নীনা আহমেদ ফিলাডেলফিয়া সিটির ডেপুটি মেয়র পদ ছেড়ে মার্কিন কংগ্রেসে লড়ছেন।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Dec 2017, 05:49 AM
Updated : 7 Dec 2017, 05:50 AM

স্থানীয় সময় বুধবার রাতে নীনা আহমেদ এ তথ্য সংবাদদাতাকে জানান। গত দুই বছর ধরে ডেপুটি মেয়রের দায়িত্ব পালনের পর গত সপ্তাহে পদত্যাগ পত্র দিয়েছেন নীনা।

এর আগে তিনি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ‘এশিয়ান-আমেরিকান অ্যান্ড প্যাসিফিক আইল্যান্ডার্স’ বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। সে মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা জুলাই মাসে। কিন্তু জানুয়ারির ২০ তারিখে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের সময়ই তিনি পদত্যাগ করেছেন নীতিগত কারণে।

বর্তমানে পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়া সিটি (দক্ষিণ ও কেন্দ্রীয়), সিটি অব চেস্টার, ফিলাডেলফিয়া আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টসহ দেলওয়ারে কাউন্টির কয়েকটি এলাকা নিয়ে গঠিত ‘পেনসিলভেনিয়া কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট-১’ থেকে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়নের লড়াইয়ে (প্রাইমারি নির্বাচন) নেমেছেন নীনা।

এই আসনের বর্তমান কংগ্রেসম্যান (ডেমোক্র্যাট) রোবার্ট ব্র্যাডির বিরুদ্ধে নির্বাচনী তহবিল তসরুপের গুরুতর অভিযোগের তদন্ত চালাচ্ছে এফবিআই। ইতোমধ্যে ওই অপকর্মে জড়িত দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জ গঠিত হয়েছে। এ অবস্থায় সামনের বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে বব ব্র্যাডির প্রার্থীতা নিয়ে সন্দেহ-সংশয় সৃষ্টি হওয়ায় ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নীনা মাঠে নামলেন।

সেনসাস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, এই নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটারের ৩৭ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ। অন্যদিকে কৃষ্ণাঙ্গ ৪৫ দশমিক ৯ শতাংশ, এশিয়ান ৪ দশমিক ৯ শতাংশ, হিসপ্যানিক ১৫ শতাংশ, আদি আমেরিকান দশমিক ৩ শতাংশ।

দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ইমিগ্র্যান্টদের অধিকার ও মর্যাদা দিয়ে তৃণমূলে কাজ করা নীনা কৃষ্ণাঙ্গ, এশিয়ান ও হিসপ্যানিকদের ভোট পাবেন বলে অনেক নির্বাচনী বিশ্লেষকরা অনুমান করছেন।

ফিলাডেলফিয়াসহ আশপাশে ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্তদের ৭৮ শতাংশেরও বেশি ডেমোক্র্যাট। অর্থাৎ দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের নির্বাচনে (প্রাইমারি) জয়ী হলে মূল নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

নীনা আহমেদ ফিলাডেলফিয়া সিটি মেয়রের ইমিগ্রেশন বিষয়ক কমিশনার ছিলেন বেশ কয়েক বছর। আর এভাবেই তৃণমূলের সাথে তার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়েছে বলে জানা যায়।

নীনা বলেন, “বর্তমান কংগ্রেসম্যানের সাথে জয়ী হতে হলে ভোটের রাজনীতির হিসাব অনুযায়ী বিপুল অর্থ লাগবে। বিধি অনুযায়ী, নির্বাচনী তহবিল গঠনের উদ্দেশ্যে শীঘ্রই একটি সমাবেশ করবো। সে সময় বাংলাদেশি-আমেরিকানদেরও সহায়তা লাগবে। তারাই হবেন আমার মূল ভিত্তি।”

মার্কিন কংগ্রেসে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কংগ্রেসম্যান হয়েছিলেন হাসিম ক্লার্ক (২০১১-২০১৩)। কিন্তু তিনি দুই বছরের এক মেয়াদের বেশি সে আসন (মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ১৩তম কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট) ধরে রাখতে সক্ষম হননি। এরপর আরও কয়েকজন লড়েছেন বিভিন্ন আসন থেকে। এখন পর্যন্ত কেউই জয়ী হতে পারেননি।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!