এরপরও ‘বাড়াবাড়ি’ করলে ব্যবস্থা, বিএনপিকে তথ্যমন্ত্রী

বিএনপির সমাবেশ করতে সব সুবিধা করে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করছেন হাছান মাহমুদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Nov 2022, 03:46 PM
Updated : 29 Nov 2022, 03:46 PM

বিএনপির সমাবেশ করতে সব সুবিধা করে দেওয়া হচ্ছে দাবি করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, এরপরও ‘বাড়াবাড়ি’ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি দলটির উদ্দেশে এই হুঁশিয়ারি দেন।

সরকার পতন আন্দোলনের হুমকি দেওয়া বিএনপি আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় জনসভার কর্মসূচি দিয়েছে। সেই জনসভা তারা নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে করতে চাইলেও সরকারের পক্ষ থেকে তা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করতে বলা হচ্ছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, “ঢাকায় বিএনপির নির্বিঘ্ন সমাবেশের সুবিধার্থে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলা এবং সেখানে ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ এগিয়ে আনা সত্ত্বেও তারা যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়, বাড়াবাড়ি করা হয়, তাহলে সরকার যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির সুবিধার কথা ভেবেই ছাত্রলীগের সম্মেলন ৮ ডিসেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর এগিয়ে আনা হয়েছে।

“যাতে সেই মঞ্চ, প্যান্ডেল গুটিয়ে ফেলার পর বিএনপি সময় নিয়ে মঞ্চ এবং তাদের প্যান্ডেল নির্মাণ করতে পারে। কোনো সম্মেলন পিছিয়ে দেওয়া সহজ, কিন্তু এগিয়ে আনা সহজ নয়। তারপরও বিএনপির জন্য আওয়ামী লীগ সেটি করেছে।”

সারাদেশে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে হয়রানির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি তো নির্বিঘ্নে সারাদেশে সমাবেশ করছে।

“তাদেরকে আমি মনে করিয়ে দিতে চাই, আমরা যখন সমাবেশ করতাম আমাদের ওপর গ্রেনেড হামলা, বোমা হামলা, বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। আমাদের দলীয় কার্যালয়ের দু’পাশে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া ছিলো, সহজে আমাদের সমাবেশ করতে দেওয়া হত না। রাসেল স্কয়ারে আমরা ২০ জন নিয়ে দাঁড়ালে পুলিশ লাঠিপেটা করত।”

“তাদের আমলে যেভাবে আমাদের প্রয়াত নেতা মো. নাসিমকে পুলিশ লাঠিপেটা করেছিল, আমাদের অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা মতিয়া চৌধুরীকে টানাহেঁচড়া করেছিল, আমিও পুলিশের লাঠিপেটা খেয়েছি, এভাবে তাদের কোনো নেতা আমাদের ১৪ বছরের আমলে এসবের শিকার হতে হয়নি। সরকার তাদেরকে সহায়তা করছে বিধায় তারা নির্বিঘ্নে সারাদেশে সমাবেশ করতে পারছে, যা তাদের সময় আমরা করতে পারিনি,” বলেন তিনি।

বিএনপি সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি সারাদেশে সমাবেশের নামে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে এবং দেশে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

“একইসাথে দেখা যাচ্ছে, জঙ্গিরাও আগের তুলনায় তৎপর হচ্ছে। এ দেশের জঙ্গিগোষ্ঠী, সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। তাদের যে ২২ দলীয় জোট যে কত দলীয় জোট সেটা পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যাপার তবে যাই হোক সেই জোটের মধ্যে সেই সমস্ত জঙ্গিগোষ্ঠীর নেতারা আছে, যারা আফগানিস্তানের তালেবানি নীতি বিশ্বাস ও লালন করে এবং মনে মনে দেশটাকে আফগানিস্তান বানানোর স্বপ্ন দেখে।”

এদিন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে দেখা করেন চীনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, দু’দেশের চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে গণমাধ্যম, সংস্কৃতি ও বাণিজ্যখাতে যোগাযোগ বাড়ানোর নানা বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা হয়।