ঢাকার ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রীভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানাসহ আট জনের বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টার অভিযোগে’ মামলা করেছেন সংগঠনের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস।
বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে উপস্থিত হয়ে তিনি অভিযোগ করেন। মহানগর হাকিম সৈয়দ মোস্তফা রেজা নূর তার জবানবন্দি শুনে আগামী ২৪ অক্টোবরের মধ্যে ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে লালবাগ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন কলেজ ছাত্রলীগের নুজহাত ফারিয়া রোকসানা, আয়েশা ইসলাম মিম, নূরজাহান, ঋতু আক্তার, আনিকা তাবাসুম স্বর্ণা ও কামরুন নাহার জ্যোতি।
মামলার আর্জিতে বলা হয়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে ইডেন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ‘নির্দেশে’ আসামি আনিকা তাবাসুম স্বর্ণাসহ কয়েকজন ‘দেশীয় অস্ত্র নিয়ে’ বাদী জান্নাতুল ফেরদৌসের কক্ষে ঢুকে ‘অশালীন ভাষায় গালিগালাজ’ করে তাকে খুঁজতে থাকেন। কিন্তু তাকে না পেয়ে আসবাবপত্র ‘ভাঙচুর’ করেন এবং কক্ষে থাকা ২০ হাজার টাকা, ল্যাপটপ (দাম ৩৪ হাজার টাকা) ‘চুরি করে’ নিয়ে যান; কক্ষের বাকিদের ‘জীবননাশের হুমকি’ দেন।
খবর পেয়ে জান্নাত রুমে যাওয়ার পথে রিভা-রাজিয়াসহ আট আসামি তাকে ঘিরে ধরেন এবং ‘চুলের মুঠি ধরে টেনে হিচড়ে’ গেস্ট রুমের পাশে নিয়ে যান।
“সাংবাদিকের কাছে আসামিদের কু-কর্মের কথা বলার কারণ জিজ্ঞাসা করে তারা গালিগালাজসহ এলোপাতাড়ি কিলঘুষি লাথি মেরে নীলাফুলা রক্তাক্ত জখম করে। রিভা তার হাতে থাকা হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করে। আর রাজিয়াসহ বাকি আসামিরা ওড়না খুলে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গলায় পেঁচিয়ে দুদিক থেকে টান দেয়।”
মামলায় বলা হয়েছে, জান্নাত মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ‘মৃত ভেবে’ আসামিরা তাকে ছেড়ে চলে যায়। সে সময় তারা ‘ফোন, গলায় থাকা সোনার চেইন’ খুলে নিয়ে যায়।
পরে খবর পেয়ে হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা জান্নাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেন জানিয়ে আর্জিতে বলা হয়, ক্যাম্পাস না ছাড়লে ‘জীবন শেষ করে দেবে’ বলেও আসামিরা হুমকি দিচ্ছে।
জান্নাত বলছেন, এ ঘটনায় তিনি লালবাগ থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: