পদত্যাগপত্র হাতে স্পিকারের দপ্তরে বিএনপির এমপিরা

ঢাকার গোলাপবাগের সমাবেশেই বিএনপির সাত সংসদ সদস্যের সবার পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Dec 2022, 06:09 AM
Updated : 11 Dec 2022, 06:09 AM

জাতীয় সংসদের সদস্য পদ ছাড়তে পদত্যাগপত্র নিয়ে স্পিকারের দপ্তারে গেছেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা।   

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর হাতে সাত এমপির পদত্যাগপত্র দিতে রোববার সকালে সংসদ ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে উপস্থিত হন তাদের পাঁচজন। 

শনিবার ঢাকার গোলাপবাগে বিএনপির বহুল আলোচিত সমাবেশেই দলের সাত সংসদ সদস্যের সবার পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। পরদিন তারা সশরীরে পদত্যাগপত্র জমা দিতে এলেন।

৩৫০ আসনের সংসদে বিএনপির সাতজন সংসদ সদস্য হলেন উকিল আব্দুস সাত্তার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২), হারুনর রশীদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), জি এম সিরাজ (বগুড়া-৭), আমিনুল ইসলাম (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২), জাহিদুর রহমান (ঠাকুরগাঁও-৩), মোশাররফ হোসেন (বগুড়া-৪) ও রুমিন ফারহানা (সংরক্ষিত নারী আসন)।

তাদের মধ্যে হারুনর রশীদ দেশের বাইরে থাকায় এবং উকিল আব্দুস সাত্তার অসুস্থতার কারণে স্পিকারের দপ্তরে আসেননি। তাদের সই করা পদত্যাগপত্র নিয়ে এসেছেন দলের হুইপ রুমিন ফারহানা।

বেলা ১১টায় সংসদে প্রবেশের সময় রুমিন ফারহানা সাংবাদিকদের বলেন, "আমরা পদত্যাগপত্র জমা দিতে যাচ্ছি।” 

শনিবার গোলাপবাগের সমাবেশে সংসদ সদস্যরা বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অনুসারে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে তারা পদত্যাগ করছেন। বিদেশে থাকা হারুন বাদে আর সবাই সমাবেশে বক্তৃতা দিতে দাঁড়িয়ে একে একে নিজের পদত্যাগের কথা বলেন।

এমপি হারুন তার পদত্যাগপত্রে সই করেই বিদেশে গেছেন বলে সমাবেশে জানিয়েছিলেন রুমিন।

তিনি বলেছিলেন, “আমাদের সবার পদত্যাগপত্র অলরেডি ই-মেইলে (স্পিকারের কাছে) পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল হাতে হাতে সংসদে পৌঁছে দেব।”

২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গড়ে ভোটে অংশ নিয়েছিল। সেই নির্বাচনে বিএনপির ছয়জন বিজয়ী হন, পরে সংরক্ষিত নারী আসনের একটি পায় দলটি। 

নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে শুরুতে বিএনপি জানিয়েছিল, তারা সংসদে যাবে না। পরে সিদ্ধান্ত বদলে শপখ নেন দলটির সংসদ সদস্যরা।

সদস্যদের আসন শূন্য হওয়ার বিষয়ে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৭ (২) এ বলা হয়েছে- কোনো সংসদ সদস্য স্পিকারের কাছে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করতে পারবেন, এবং স্পিকার- কিংবা স্পিকারের পদ শূন্য থাকলে বা অন্য কোনো কারণে স্পিকার স্বীয় দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হলে ডেপুটি স্পিকার- যখন উক্ত পত্র প্রাপ্ত হন, তখন হতে উক্ত সদস্যের আসন শূন্য হবে।

Also Read: সংসদ থেকে বিএনপির ৭ এমপির পদত্যাগ