শেখ হাসিনার কারণেই চিকিৎসা পাচ্ছে সবাই: মতিয়া চৌধুরী

“তিনি দেশে ফিরে এসেছিলেন বলেই- আমরা গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছি, মানুষের অধিকার ফিরে পেয়েছি,” বলেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক
Published : 16 May 2023, 04:44 PM
Updated : 16 May 2023, 04:44 PM

চার দশক আগে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফেরেন বলেই ‘সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন’ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, “আজকে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসেছিলেন বলেই সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন হচ্ছে, চিকিৎসা সেবার মান অনেক উন্নত হয়েছে, এ দেশের মানুষ সকল ধরনের চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে।

“আজকে এই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কনভেনশন হলে দাঁড়িয়ে বলতে পারি চিকিৎসা সুযোগ নয়, চিকিৎসা আমার অধিকার। এভাবেই উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ।”

মঙ্গলবার শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব কনভেনশন হলে যুবলীগের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, “বঙ্গবন্ধুকন্যা যেদিন ফিরে এসেছিলেন, সেদিন প্রকৃতিও অঝোর ধারায় কেঁদেছিল। সেদিন এয়ারপোর্টে লক্ষ লক্ষ জনতার মুখে স্লোগান ছিল- ‘ঝড়বৃষ্টি আঁধার রাতে, শেখ হাসিনা আমরা আছি তোমার সাথে’। শেখ হাসিনা এদেশের মাটিতে পদার্পণ করে বলেছিল, ‘আমার হারানোর কিছু নাই, পিতা-মাতা-ভাই, আত্মীয় হারিয়ে আমি বাংলার জনগণের কাছে ফিরে এসেছি। আপনারাই আমার আপনজন, আপনারাই আমার আত্মার আত্মীয়। আমরাই আবার গণতন্ত্র উদ্ধার করব’।”

সংসদ উপনেতা বলেন, “সেদিন ঝড়-বৃষ্টি শেখ হাসিনাকে থামাতে পারেনি। তিনি ঠিকই গণতন্ত্রকে উদ্ধার করেছেন। তিনি দেশে ফিরে এসেছিলেন বলেই- আমরা গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছি, মানুষের অধিকার ফিরে পেয়েছি।”

শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, “বাংলাদেশ কেন এগিয়ে গেল- তার চারটি কারণ দেখিয়েছেন পাকিস্তানের সুশীল সমাজ। প্রথম কারণ, বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ, এখানে সাম্প্রদায়িতকতার বিষবাষ্প ছড়ানো হয়, কিন্তু এদেশের মানুষ তা গ্রহণ করে না। দ্বিতীয় হলো নারীর ক্ষমতায়ন। তৃতীয় হলো অগণতান্ত্রিকভাবে এদেশে কেউ আর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে পারবে না।

“চতুর্থ হলো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, যিনি শুধু দেশের মানুষের অনুপ্রেরণা নয়, তিনি সারা বিশ্বের নেতাদের অনুপ্রেরণা। যার কারণে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে দুর্বার গতিতে।”

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, “১৯৮১ সালের ১৭ মে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরেছিলেন বলেই গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার হয়েছিল। তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হলো, তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। এগুলোর কোনো কিছু হতো না যদি বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বদেশ প্রত্যার্তন না করতেন।

“তিনি এসেছিলেন বলেই এদেশে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল হয়েছে। এদেশের কোনো রোগী যেন বাইরে না যায়, সেজন্য উন্নতমানের চিকিৎসা ব্যবস্থা করেছেন।”

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মামুনুর রশীদ, খালেদ শওকত আলী, সেলিম আলতাফ জর্জ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, মুহাম্মদ বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, মো. জহির উদ্দিন খসরু, মশিউর রহমান চপল, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী।