দুই মাসের বেশি সময় ধরে কারাগারে থাকা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছেন বলে আদলতকে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
মঙ্গলবার রাজধানীর দুটি থানার নয়টি মামলার জামিন শুনানিতে তার আইনজীবী আসাদুজ্জামান বলেন, “মির্জা ফখরুল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন করতে গিয়ে এই বিপদে পড়েন। তিনি যদি আপস করতেন, তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করা হত না।
“তার ভাসকুলার ডিজিজ রয়েছে। তার হাঁটতে কষ্ট হয়। ওজন কমে গেছে পাঁচ কেজি।”
২০১৫ সালে কারাবন্দি অবস্থায় মির্জা ফখরুলের ইন্টারনাল ক্যারোটিড আর্টারিতে ব্লক ধরা পড়ে। এই রোগে চিকিৎসার জন্য প্রতি বছরই মির্জা ফখরুল সিঙ্গাপুরে যান।
৭৫ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদের উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসও রয়েছে। মাঝে দুইবার তিনি কোভিডেও আক্রান্ত হন।
ঢাকায় গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে সংঘর্ষের পরদিন মির্জা ফখরুলকে তার গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের কাছে ‘দিলরুবা’ অ্যাপার্টমেন্টের দ্বিতীয় তলায় একটি বাসায় থাকেন মির্জা ফখরুল। স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য উত্তরার বাসা বদলে গুলশানে এসেছেন তারা।
ফখরুলকে গ্রেপ্তারের পর তার স্ত্রী রাহাত আরা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “এভাবে নিয়ে যাওয়া… আমার বলার কোনো ভাষা নেই। তিনি অসুস্থ, প্রচণ্ড অসুস্থ। এটা বাইরের কেউ বুঝবেন না। এই সময়ে তাকে এই অসুস্থ অবস্থায়…প্রচণ্ড কাঁশি, তার ফুসফুসের সমস্যা। বাংলাদেশে ট্রিটমেন্ট করেন, সিঙ্গাপুরেও গিয়েছিলেন।”
মঙ্গলবার শুনানি শেষে আসামিপক্ষের আবেদনে ফখরুলকে ওই নয় মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর সিদ্ধান্ত দেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিন। সেই সঙ্গে তিনি ফখরুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে জামিন প্রশ্নে আদেশ দিতে বুধবার রাখেন।
প্রায় ৪০ মিনিট ধরে শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি শাহ আলম তালুকদার, সাজ্জাদুল হক শিহাব, তাপস পাল।
আরও পড়ুন: