খালেদার নাইকো মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে ৮ নভেম্বর

আদালতের কর্মচারীরা বলেছেন, বিভিন্ন কারণে এ নিয়ে ৪৬ বার পিছিয়েছে এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Sept 2022, 10:25 AM
Updated : 29 Sept 2022, 10:25 AM

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি আবারও পিয়িছেছে। 

ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আগামী ৮ নভেম্বর এ মামলার শুনানির পরবর্তী তারিখ দিয়েছেন বলে দুদকের কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন কাজল জানিয়েছেন। 

খালেদাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা এ মামলায় বৃহস্পতিবার অভিযোগ গঠনের শুনানি হওয়ার তারিখ ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী অসুস্থতার জন্য সময়ের আবেদন করেন।

দুদকের আইনজীবী এ সময় সময় পেছানোর বিরোধিতা করেন। পরে আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলীর আবেদন বিচারক মঞ্জুর করে শুনানির নতুন তারিখ ঠিক করে দেন।  

এ নিয়ে শুনানির জন্য কতবার সময় নেওয়া হল জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অনেকবার। তবে কয়বার বলতে পারব না।“ 

তবে মামলার নথিপত্র দেখে আদালতের কর্মচারীরা বলেছেন, বিভিন্ন কারণে এ নিয়ে ৪৬ বার পিছিয়েছে এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি। 

কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে ‘অস্বচ্ছ’ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। 

পরের বছর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। সেখানে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

এছাড়া সাবেক আইন মন্ত্রী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন এই মামলায় আসমি থাকলেও তারা মারা যাওয়ায় অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

আসামিদের মধ্যে ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বর্তমানে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন। আর গিয়াসউদ্দিন আল মামুন আছেন কারাগারে। বাকি ৬ জন
জামিনে আছেন। এছাড়া আরেক আসামি কাশেম শরীফ বর্তমানে পলাতক।

দুর্নীতির অপর দুটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ইতোমধ্যে ১০ ও সাত বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।