“যে সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে সক্ষম, আমরা সেই সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চাই, অক্ষমদের চাই না,” বলেন শিশির।
Published : 27 Apr 2025, 11:32 PM
সারাদেশে অব্যাহত চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে তা বন্ধ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতে পুরান ঢাকার দোলাইপাড়ে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি।
রোববার সন্ধ্যার পর দোলাইপাড় মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়। মিছিল থেকে দল হিসাবে আওয়ামী লীগের বিচার, নিবন্ধন বাতিল এবং রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে স্লোগান দেন এনসিপি নেতাকর্মীরা।
পোস্তগোলা, জুরাইন হয়ে বিক্রমপুর মার্কেটের সামনে এসে শেষ হয় মিছিল।
এনসিপির শ্যামপুর ও কদমতলী থানা শাখা আয়োজিত এই মিছিলে স্থানীয় নেতাকর্মীর অংশ নেন।
এর আগে গত সপ্তাহ জুড়ে উত্তরা, মোহাম্মদপুর, শাহবাগসহ রাজধানীর আরও কিছু এলাকায় একই দাবিতে মশাল মিছিল করেছে এনসিপি।
মিছিলের আগে দেওয়া এক বক্তব্যে এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিন বলেন, “দেশের সাধারণ মানুষের জীবন আজ বিপর্যস্ত। আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় আগে যেভাবে চাঁদাবাজি করেছিল, বর্তমানেও একইভাবে চাঁদাবাজি চলছে। অবিলম্বে সরকারকে চাঁদাবাজি বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে।”
একটি দলের চাঁদাবাজির কারণে জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে বিপর্যস্ত করেছে। চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস তাদের অস্তিত্বের অংশ হয়ে গেছে। অবিলম্বে সব রাজনৈতিক দলকে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের পথ পরিহার করতে হবে,” বলেন নিজাম উদ্দিন।
যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি গণহত্যাকারী দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করতে পারে তাহলে অবিলম্বে তাদের পদত্যাগ করা উচিত। যে সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে সক্ষম, আমরা সেই সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চাই, অক্ষমদের চাই না।”
“চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারলে দেশের ভবিষ্যৎ আরও অন্ধকার হবে,” বলেন তিনি।
যুগ্ম মূখ্য সংগঠক এস এম শাহরিয়ার বলেন, “রাজধানীসহ সারা দেশে প্রতিদিন চাঁদাবাজির কারণে ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। একটি দল পুরোপুরি ক্ষমতায় না এসেও জনগণের সম্পদ লুটপাট করছে, চাঁদাবাজি করছে, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
অন্যদের মধ্যে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা আসাদ বিন রনি, রাকিব হোসেন, খান মুহাম্মদ মোরসালীন, শ্যামপুর-কদমতালী থানার নেতা হাসানুল ইসলাম রায়হান, সাদিকুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম খোরশেদ আলম, ইসমাইল হোসেন, মোহাম্মদ রায়হান মিছিলে অংশ নেন।