ফখরুল বলেন, ইতিহাস ইতিহাসই। ইতিহাস কেউ বিকৃত করতে পারবে না।
Published : 25 Mar 2025, 08:56 PM
একাত্তর সাথে মুক্তিযুদ্ধ কোনো ঘটনাই ছিল না, কিছু মানুষ, দল এমনটাই বোঝানোর চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার রাজধানী রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে কালরাত্রির কথা আমাদের মনে রাখতে হবে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যে হত্যাযজ্ঞ করেছিল তার জন্য আজ পর্যন্ত তারা ক্ষমা চায় নাই। গণহত্যা করেছিল, লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছিল তার জন্য পাকিস্তান এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করে নাই। এই কথাগুলো কেন বলছি?
“এখন একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে.. কিছু মানুষ, কিছু কিছু দল, কিছু কিছু গোষ্ঠী বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে, ১৯৭১ কোনো ঘটনাই ছিল না। এবং মুক্তিযুদ্ধের যে আন্দোলন, যে যুদ্ধ, লাখ লাখ মানুষের যে আত্মত্যাগ, দীর্ঘ নয় মাস ধরে বাড়িঘর ছেড়ে কোটি কোটি মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল, বাড়িতে থাকতে পারত না, পালিয়ে পালিয়ে বেড়াতে হতো, যুবকরা কেউ বাইরে থাকতে পারত না, সেই অবস্থা যেন আমরা ভুলে যাচ্ছি, ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
ফখরুল বলেন, “কারা সেদিন সহযোগিতা করেছে? যারা সেদিন সহযোগিতা করেছিল, যারা সেদিন হত্যাযজ্ঞে সহযোগিতা করেছিল, তারা এখন গলা ফাটিয়ে কথা বলে। আমি কারও নাম বলতে চাই না। তিক্ততাও সৃষ্টি করতে চাই না।
“ইতিহাস ইতিহাসই। ইতিহাস কেউ বিকৃত করতে পারবে না। আজকের এই রাত্রি আমাদের কাছে অত্যন্ত কলঙ্কময় রাত্রি, দুঃখের রাত্রি, আমাদের বহু মানুষকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, রাজারবাগ, লালবাগে হত্যা করা হয়েছে, পিলখানায় হত্যা করা হয়েছে।”
এরপরে যাকে বলা হয়েছিল ‘অখ্যাত মেজর’, সেই জিয়াউর রহমানের কালুরঘাট থেকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে স্বাধীনতা যুদ্ধ ঘোষণার ইতিহাস তুলে ধরেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের পুরনো স্মৃতিগুলোকে নাড়িয়ে দিতে হবে, আজকের জেনারেশন জানে না অনেকগুলো কথা। কত বড় ধৃষ্টতা তাদের যে তারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে পর্যন্ত প্রশ্ন করে। ধিক্কার জানাই তাদের। নিজের ইতিহাস জানে না যারা, তারা জাতির কোনো কল্যাণ করতে পারবে না। কালরাত্রির কথা যেন ভুলে না যাই।”
প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় এই আলোচনা সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান ও নুরুল ইসলাম মনি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কামরুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মামুন আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য লুৎফর রহমান এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনু বক্তব্য রাখেন।