দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান মঙ্গলবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, “বিচারপতিদের ভয়ের মধ্যে রেখে আদালতের ওপর একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রাখতেই উচ্চ আদালতের বিচারকদের অভিশংসন ক্ষমতা সংসদের হাতে ফেরানো হচ্ছে।”
এ আইন হলে বিচার বিভাগের ওপর ‘মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকারের প্রধান নির্বাহী অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর’ হস্তক্ষেপ করার ‘শতভাগ ক্ষমতা’ নিশ্চিত হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
“এর ফলে দেশের আদালতগুলোতে বিচারক নিয়োগ ও অপসারণ দুটিই থাকবে নির্বাহী বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন।”
সংসদে না থাকা বিএনপি শুরু থেকেই সরকারের এ উদ্যোগের বিরোধিতা করে আসছে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, “বিচারপতিদের অভিশংসন ক্ষমতা সংসদের হাতে গেলে জনগণের ন্যায়বিচার পাওয়ার শেষ সম্ভাবনাটুকুও বিলীন হয়ে যাবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বলতে কিছু থাকবে না।”
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠকের পর এই সংবাদ ব্রিফিং হয়। এতে সংবিধান সংশোধনের প্রতিবাদে জোটের পক্ষ থেকে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, “অতীতে আওয়ামী লীগ সরকারের নির্মম আঘাতে গণতন্ত্র নামক প্রতিষ্ঠানটি ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে। আর বর্তমানে তারা গণতন্ত্রের সব প্রতিষ্ঠানকে গলা টিপে মেরে ফেলছে। আমরা মনে করি, বিচার বিভাগের ওপর যদি শাসন বিভাগের কর্তৃত্ব স্থাপিত হয়, তাহলে রাষ্ট্রের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে।”
এই বিএনপি নেতার অভিযোগ, ‘আজীবন’ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলে রাখার জন্য সরকার বিচারালয়ে ‘নিজেদের পছন্দমতো লোক বসিয়ে’ বিচারের রায় ‘নিজেদের অনুকূলে এবং জনগণের প্রতিকূলে’ নিতে এ উদ্যোগ নিয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে নজরুল বলেন, “এ আইন সংশোধনের জন্য কোনো শ্রেণি বা পেশা থেকে দাবি ওঠেনি। তারপরও সরকার এটি করতে যাচ্ছে। তাদের কুটিল চক্রান্ত রয়েছে।”
২০ দলীয় জোটের নেতারা ছাড়াও বিএনপির হাবিব উন নবী খান সোহেল, আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করীম শাহিন, আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরফত আলী সপু, হেলেন জেরিন খান ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।