এর মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ৪০ মিনিট, জাতীয় পার্টি ২০ মিনিট এবং জাতীয় পার্টি জেপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ ১৫ মিনিট করে সময় পাচ্ছে।
এর মধ্যে বিএনএফ, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও জেপি বুধবারই ভাষণ দেবে। বাকি দুই দলের সময় পরে জানানো হবে।
ভাষণের জন্য দল নির্বাচন ও সময় বরাদ্দের পর মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (সম্প্রচার) আবুল হোসেন ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। ছয় দলের মহাসচিবকে চিঠি দিয়েও ২ জানুয়ারির মধ্যে ভাষণ রেকর্ড করার ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, “নির্বাচন উপলক্ষে রাজনৈতিক দলের প্রধান বা প্রতিনিধিদের ভাষণ বিটিভিতে সম্প্রচারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ লক্ষ্যে ২ জানুয়ারির মধ্যে বিটিভি মহাপরিচালকের কাছে দলীয় প্রধান বা তার প্রতিনিধির ভাষণের পাণ্ডুলিপিসহ রেকর্ডের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হচ্ছে।”
৫ জানুয়ারি ভোটের আগে ৩ তারিখ মধ্যরাত থেকেই সব ধরনের নির্বাচনী প্রচার বন্ধ থাকবে। এর আগেই ধারণকৃত ভাষণ বিটিভিতে প্রচার করার ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।
দল নির্বাচন বা ভাষণের সময় বরাদ্দের ক্ষেত্রে কোন নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে- সে বিষয়ে চিঠিতে কিছু বলা হয়নি।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, প্রার্থী সংখ্যা বিবেচনায় নিয়েই তারা দল নির্বাচন করেছেন।
এবার গণতন্ত্রী পার্টি একটি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ছয়টি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন তিনটি, গণফ্রন্ট একটি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট একটি এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস দুইটি আসনে প্রার্থী দিলেও বিটিভিতে তারা ভাষণ দেয়ার সুযোগ পাচ্ছে না।
আর আওয়ামী লীগের ২৪৬ জন, জাতীয় পার্টির ৮৫ জন, জেপির ২৮ জন, জাসদের ২৪ জন, ওয়ার্কার্স পার্টির ১৮ জন ও বিএনএফের ২২ জন প্রার্থী এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।