জামায়াত নেতা ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মাওলানা শামসুদ্দিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম শহরের বিএলএফ কমান্ডার কাজী ইনামুল হক দানু এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা গ্রন্থের প্রণেতা ডা. মাহফুজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মুক্তিযুদ্ধের সময় মাওলানা শামসুদ্দিন পাকিস্তানি বাহিনীর কুখ্যাত নির্যাতন কেন্দ্র (টর্চার সেল) শহরের ডালিম হোটেলের অন্যতম নিয়ন্ত্রক ছিলেন।
শনিবার নগরীর বড়পুল এলাকার রাজমুকুট কমিউনিটি সেন্টারে জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠন চাষী কল্যাণ সমিতি মহানগর শাখা আয়োজিত 'যৌতুকবিহীন' এক বিয়ের অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাংসদ লতিফ প্রধান অতিথি এবং মাওলানা শামসুদ্দিন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর আফসার উদ্দিন চৌধুরী এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোজাফফর আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।
সারাদেশে আওয়ামী লীগ যুদ্ধাপরাধীদের উপস্থিতি আছে এমন অনুষ্ঠান বর্জন করলেও আওয়ামী লীগের সাংসদ এম এ লতিফের জামায়াতের সহযোগী সংগঠনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
মাওলানা শামসুদ্দিনকে একজন যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযোদ্ধা কাজী ইনামুল হক দানু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "সাংসদ লতিফ জেনে বুঝে এ অনুষ্ঠানে গেছেন কি না আমার জানা নেই। যদি জেনে শুনে এ অনুষ্ঠানে গিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই অন্যায় করেছেন।"
এ ব্যাপারে সাংসদ লতিফ বলেন, "আমি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি। যেখানে আমার ছেলেসহ ১৭ জন নব দম্পতি যৌতুকবিহীন বিবাহ বন্ধনে অংশ নেন।"
তিনি বলেন, "অনুষ্ঠানে যাওয়ার পর জেনেছি মাওলানা শামসুদ্দিন একজন যুদ্ধাপরাধী।"
চাষী কল্যাণ সমিতি ১৭ নবদম্পতির জন্য এ যৌতুকবিহীন বিয়ের আয়োজন করে। সাংসদের বড় ছেলে ওমর ফারুকের সঙ্গে ফারজানা পারভীনের বিয়েও অনুষ্ঠিত হয়।