শুক্রবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তের কথা জানান দলটির সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপের সময়সূচিতে আগামী সোমবার জেএসডির সঙ্গে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল।
সংলাপে না গেলেও জেএসডি এ বিষয়ে প্রস্তাব দেবে বলে জানিয়েছেন আ স ম রব।
তিনি বলেন, “দলের এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে প্রস্তাবসহ একটি চিঠি দলের কার্য্করী সাধারণ সম্পাদক বঙ্গভবনে বিকালেই পৌঁছে দেবেন।“
উত্তরায় রবের বাসায় সকালে দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামের বৈঠক হয়। এরপর বিকালে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন।
বর্তমান সরকার সংবিধানের ইচ্ছা-আকাংখা ও সংকল্পের প্রতিনিধিত্ব করে না অভিযোগ করে জেএসডির সভাপতি বলেন, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নতুন করে গায়েবি মামলা দিচ্ছে এবং পুরনো মামলার সূত্র ধরে আবারও গ্রেপ্তার শুরু করেছে।
“সেহেতু শুধু নির্বাচন কমিশন গঠন নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য কোনো গ্যারেন্টি বা সমাধান নয়।”
এমন বাস্তবতায় রাষ্ট্রপতির সংলাপে জেএসডি অংশ গ্রহণ করছে না জানিয়ে তিনি বলেন, “এ ধরনের সংলাপ রাষ্ট্রপতির মর্যাদা সুরক্ষার উপযোগীও নয় বলে আমরা মনে করি।”
“আমরা বিশ্বাস করি, দলীয় সরকারের অধীনে দেশে কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের গ্যারান্টি এখন অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এ লক্ষ্যে আমরা ইতিমধ্যে জাতীয় সরকারের প্রস্তাব উপস্থাপন করেছি।”
তিনি বলেন, সংলাপ হবে নির্বাচন কমিশন নিয়ে নয়, সংলাপ হতে পারে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতীয় সরকারের গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে।
গত ২০ ডিসেম্বর থেকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছেন।
ইসি গঠনে আইন না থাকায় আগের দুই বারের মতো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে নিয়োগের প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি।
ইতোমধ্যে বিএনপি ছাড়াও সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সিপিবি, বাসদ, এলডিপি ও ইসলাম আন্দোলন বাংলাদেশ।
বঙ্গভবন থেকে এখন পর্যন্ত ২৭টি দলকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন ইসির মেয়াদ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে। এর মধ্যেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে রাষ্ট্রপতিকে।
সংবাদ সম্মেলনে জেএসডির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, কার্য্করী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, স্থায়ী কমিটির সদস্য তানিয়া রব, তৌহিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা কামাল পাটোয়ারী ও বেলায়েত হোসেন বেলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।