বঙ্গভবনে সংলাপে এলডিপিও যাবে না

ইসি নিয়োগে রাষ্ট্রপতির ডাকা সংলাপকে ‘অর্থহীন’ অভিহিত করে তাতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Jan 2022, 05:50 PM
Updated : 5 Jan 2022, 05:50 PM

অলি আহমদ। ফাইল ছবি

এর আগে এই ধরনের দুটি সংলাপে অংশ নেওয়া বিএনপির জোট শরিক দলটিকে বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

তার একদিন আগে সংলাপের বিষয়ে বিএনপির মতোই সিদ্ধান্ত জানান দলটির সভাপতি অলি আহমদ।

তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ মানে হচ্ছে চা-চক্র, চা খাওয়া। আগেও আমরা এরকম সংলাপে গেছি, কোনো ফল আসেনি।

“আমরা মনে করি, এই সংলাপ অর্থহীন। চা খেতে বা জনগণের টাকা নষ্ট করতে এলডিপি বঙ্গভবনে যাবে না। অর্থহীন এই সংলাপে অংশ নেবে না।”

তবে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে অলি আহমদ বলেন, “রাষ্ট্রপতি একজন ভালো মানুষ। তার কোনো ক্ষমতা নাই।”

বিএনপি ছাড়াও এই সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সিপিবি, বাসদ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বঙ্গভবন থেকে এখন অবধি ২৭টি দলকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

ইসি গঠনে আইন না থাকায় আগের দুই বারের মতো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে নিয়োগের প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন ইসির মেয়াদ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে। তার মধ্যেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে রাষ্ট্রপতিকে।

৩০ বছর পর ‘বোধদয়’

রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার প্রসঙ্গ টেনে সাবেক মন্ত্রী অলি আহমদ বলেন, “আজকে এই সঙ্কটের পেছনে আমিও দায়ী। এ্জন্য আমি জনগণের কাছে ক্ষমা চাই।

“১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সময়ে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা বাড়াতে যে প্রক্রিয়া হয়েছে, তাতেও আমার অনেক ভূমিকা ছিল। তখন যদি আমি বুঝতাম, তা হলে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনতাম।”

সাবেক সেনা কর্মকর্তা অলি আহমেদ বিএনপির নীতি-নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। জিয়াউর রহমানের সময় থেকে বিএনপিতে থাকা অলি দেড় যুগ আগে তিনি আলাদা দল গঠন করেন।

এলডিপি সভাপতি অলি বলেন, “সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান আজকে ধ্বংস হয়ে গেছে। অনেকে কেয়ারটেকার সরকার চাচ্ছেন। এখন সঙ্কট নিরসনে জাতীয় সরকার প্রয়োজন।

“শুধু নির্বাচন কমিশনের কথা চিন্তা করলে চলবে না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থায় যে পচন ধরেছে, তার সংস্কার করতে হবে। সামগ্রিকভাবে দেশকে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে হবে।”

তেজগাঁওয়ে এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নুরুল আলম, আওরঙ্গজেব বেলাল, নিয়ামুল বশির, মনজুর মোর্শেদ, সহ সভাপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় নেতা তমিজ উদ্দিন টিটু, বিলাল হোসেন মিয়াজী উপস্থিত ছিলেন।