‘ভুয়া পোস্টের’ কারণে সৃষ্ট সহিংসতার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইসবুক কর্তৃপক্ষকে সরকার নোটিস করবে বলে রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, কুমিল্লার ঘটনা ‘সোশাল মিডিয়ায়’ প্রকাশ না পেলে তা সারা দেশে ছড়িয়ে ‘এই পরিস্থিতি’ তৈরি হত না; রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনার পেছনেও একই কারণ।
“সোশাল মিডিয়ার কারণে এ ঘটনা ঘটে, ফেইসুবকের পোস্টের কারণে এ ঘটনা ঘটে। কারণ তাদের মাধ্যম ব্যবহার করে সমাজে অস্থিরতা তৈরির করার জন্য এ কাজগুলো করা হয়েছে। অবশ্যই ফেইসবুক কর্তৃপক্ষকে আমরা নোটিস করব।”
তবে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর জন্য শুধু ‘ফেইসবুক পোস্টকে’ এককভাবে দায়ী করেন না আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, “এ ঘটনার সঙ্গে যারাই যুক্ত ছিল সবাই দায়ী। যে কোরআন শরিফ রেখে এসেছে সে দায়ী, তাকে যারা প্ররোচণা দিয়ে করিয়েছে তারা দায়ী, যারা একটি পোস্টের প্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই না করে সমাজে হানাহানি তৈরি করল তারাও দায়ী।”
গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লার একটি পূজামণ্ডপে কুরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে কয়েকটি মন্দিরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ হয়। এরপর আরও কয়েকটি জেলায়ও হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা হয়।
এর মধ্যেই গত ১৭ অক্টোবর রাতে রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা হয়, যার উসকানিদাতা হিসেবে ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের রংপুর কারমাইকেল কলেজ শাখার এক নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে।
দুপুরের সচিবালয়ে সম্পাদক ফোরামের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করার কোনো উদ্দেশ্য সরকারে নেই।
“কিন্তু সবকিছুই এমনভাবে পরিচালিত হওয়া প্রয়োজন, সেটি যাতে খারাপ কাজে ব্যবহৃত না হয় এবং সেখানে যাতে স্বচ্ছতা থাকে। এখন ফেইসবুকে পরিচয় গোপন করে ‘ফেইক আইডি’ থেকে পোস্ট দেওয়া হয়, তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। এটির প্রতিকার দরকার আছে।“
বিজ্ঞাপনের বিল পরিশোধে সরকারি দপ্তরগুলোকে আবারো তাগাদাপত্র দেওয়া হবে জানিয়ে সম্পাদক পরিষদের সদস্যদের মন্ত্রী বলেন, “এ সপ্তাহেই আমরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও আইএমইডির সঙ্গে যোগাযোগ করব। ডিএফপির বিজ্ঞাপনের টাকা নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।”
বিভিন্ন জেলায় ২১০টি পত্রিকা প্রকাশ হয় না সেগুলো বন্ধ করতে জেলা প্রশাসকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ইতিমধ্যে এ সমস্ত পত্রিকার অনেকগুলো বন্ধ হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।