মানুষের হতাশা চরম পর্যায়ে: ফখরুল

সরকারের ‘লুটেরা অর্থনৈতিক ব্যবস্থায়’ মানুষের হতাশা ‘চরম পর্যায়ে’ বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Sept 2021, 01:50 PM
Updated : 28 Sept 2021, 01:50 PM

গত সোমবার একজন রাইড শেয়ারের চালকের নিজের বাইক পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে মঙ্গলবার দলের এক সভায় বক্তব্যে এই দাবি করেন তিনি।

ফখরুল বলেন, “এরা (সরকার) অর্থনীতিকে ধ্বংস করে্ছে, এরা আজকে পুরোপুরিভাবে একটা লুটেরা অর্থনীতি তৈরি করেছে, এরা পুরোপুরিভাবে একটা লুটেরা সমাজ তৈরি করছে।

“কী অবস্থা দেখেন! এই করোনার কারণে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা এত খারাপ হয়েছে যে, গতকাল (সোমবার) একজন যুবক তার মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে। এটা কখন হয়? যখন হতাশার চরম পর্যায় গিয়ে পৌঁছে মানুষ। আজকে সেই অবস্থায় গিয়ে আমরা পৌঁছেছি।”

এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমাদেরকে সংগ্রাম করতে হবে, লড়াই করতে হবে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে এই লড়াইয়ে সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে।”

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দে্শের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ‘বিকৃত’ করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

ফখরুল আরও বলেন, “আমাদের যে স্বপ্ন ছিল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, সেটাকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন একটা আবরণ আছে গণতন্ত্রের, সেই আবরণের মধ্যে পুরোপুরি একদলীয় ব্যবস্থা চলছে।

“এখানে একটা ভয়ভীতির সংস্কৃতি এমনভাবে তৈরি হয়েছে যে, এখন কথা বলতে যে কেউ ভয় পায়, লিখতে ভয় পায়, সাংবাদিকরা লিখতে ভয় পায়।”

বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ৩৫ লাখের উপরে মামলা থাকার তথ্য জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “গ্রেপ্তার, পুলিশি নির্যাতনে তারা এলাকায় থাকতে পারছে না।”

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে বিএনপি গঠিত জাতীয় কমিটি ও বিষয়ভিত্তিক কমিটির সভায় বক্তব্য রাখেন ফখরুল। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সভা হয়।

কমিটির আহ্বায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব আবদুস সালামের সঞ্চালনায় সভায় স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তীতে বছরব্যাপী কর্মসূচি পুনরায় শুরুর বিষয়ে আলোচনা হয়।

সভায় ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আামান, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, ইসমাইল জবিউল্লাহ, ফরহাদ হালিম ডোনার, বিজন কান্তি সরকার, আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, আবদুল হাই শিকদার, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শ্যামা ওবায়েদ, এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন, রিয়াজুল ইসলাম রিজু, আশরাফউদ্দিন উজ্জ্বল, আমিনুল হক, জহিরউদ্দিন স্বপন, মনীষ দেওয়ান, মার্শেল এম চিরমা, হারুন আল রশিদ, চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের এবিএম আবদুর সাত্তার, রিয়াজউদ্দিন নসু ও প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।