জাতিসংঘ সফরে শুক্রবার ঢাকা ছাড়ছেন প্রধানমন্ত্রী

জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে শুক্রবার ঢাকা ছাড়ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Sept 2021, 05:43 PM
Updated : 16 Sept 2021, 05:43 PM

দুই সপ্তাহের এই সফরে ফিনল্যান্ড হয়ে যুক্তরাষ্ট্র যাবেন প্রধানমন্ত্রী। একই পথে ১ অক্টোবর দেশে ফিরবেন তিনি।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন এবং সেখানে বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য ১৯ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী।

২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন তিনি।

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এক বছর বিরতি দিয়ে আবার সরাসরি সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইতালি সফরের পর দেড় বছরে এটাই তার প্রথম বিদেশ সফর।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, বিমানের একটি ভিভিআইপি চাটার্ড ফ্লাইটে শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী হেলসিংকির উদ্দেশে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হবেন।

সফরসূচি অনুযায়ী, নিউ ইয়র্কে যাওয়ার পথে শেখ হাসিনা হেলসিংকিতে দুদিনের যাত্রা বিরতি করবেন।

১৯ সেপ্টেম্বর হেলসিংকি থেকে নিউ ইয়র্ক রওনা হবেন তিনি।

২০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আহবানে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।

পরে, তিনি একটি গাছ লাগাবেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তার সম্মানে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের উত্তর লনে ইউএন গার্ডেনে একটি বেঞ্চ উৎসর্গ করবেন।

সেদিন প্রধানমন্ত্রী ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন নেটওয়ার্ক’ শীর্ষক একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি।

২১ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সদর দফতরে সাধারণ বিতর্কের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেবেন।

সেদিন তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আয়োজিত ‘বিজনেস গোলটেবিল : ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল’ অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন।

২২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী ‘ডারবান ডিক্লারেশন অ্যান্ড প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন’ গ্রহণের ২০তম বার্ষিকী উপলক্ষে সাধারণ পরিষদের একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেবেন।

এছাড়া তিনি ‘হোয়াইট হাউস বৈশ্বিক কোভিড-১৯ শীর্ষ সম্মেলন : মহামারীর সমাপ্তি এবং আরও ভাল অবস্থা গড়ে তোলা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেবেন।

সেদিন বিকালে শেখ হাসিনা ‘রোহিঙ্গা সঙ্কট : একটি টেকসই সমাধানের জন্য করণীয়’ শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং সেখানে পূর্বে-রেকর্ড করা বক্তৃতা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

২৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সুইডিশ মিশন আয়োজিত ‘জাতিসংঘের সাধারণ কর্মসূচি : সমতা ও অন্তর্ভুক্তি অর্জনের পদক্ষেপ’ শীর্ষক নেতাদের নেটওয়ার্কের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

সেদিন জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান করা ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দশক কর্মসূচির অংশ হিসাবে খাদ্য ব্যবস্থা শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন।

জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে শেখ হাসিনা বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
তাদের মধ্যে রয়েছেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডেরিকসেন, বার্বাডোজের প্রধানমন্ত্রী মিয়া আমোর মোটলি কিউসি, নেদারল্যান্ডসের রানি ম্যাক্সিমা, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ এবং ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট এনগুয়েন জুয়ান ফাইক।

এছাড়া জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং ইইউ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেলের সঙ্গে আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী।

জাতিসংঘ অধিবেশন এবং নিউ ইয়র্কে অন্যান্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রীর ২৫-৩০ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন ডিসি সফরের কথা রয়েছে।

৩০ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন শেখ হাসিনা। হেলসিংকিতে যাত্রা বিরতির পর ১ অক্টোবর দেশে ফিরবেন তিনি।