তিনি বলেছেন, “যে সব ছাত্রনেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের অপরাধটা কী? কাউকে খুন করেছে? কাউকে বলাৎকার করেছে? কারও কাছ থেকে টাকা ছিনতাই করেছে?
“তারা শুধু মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলেছে। এটা যদি অপরাধ হয়ে থাকে, তাহলে আমিও এই একই অপরাধে অপরাধী। আমাকেও গ্রেপ্তার করুন।”
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের গ্রেপ্তার নেতাদের মুক্তির দাবিতে সোমবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘উদ্বিগ্ন অভিভাবক সমাজ’ ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচিতে একথা বলেন জাফরুল্লাহ।
সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই অবস্থান কর্মসূচিতে গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্য ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
গত মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর সফরের বিরোধিতায় ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘাত হয়। ওই সব ঘটনায় পুলিশের মামলা করে।
ওই সব মামলায় ছাত্র পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি, ডা্কসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনসহ ৫৬ জন ছাত্রনেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে কর্মসূচিতে জানান সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
এসব ছাত্রদের মুক্তির বিষয়ে সার্বিক ব্যবস্থা নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে আহ্বান জানান জাফরুল্লাহ।
কর্মসূচিতে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক, ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “একটি সরকার কতটা দুর্বল হলে ৩৫ জন ছাত্রের ভয়ে কাঁপতে থাকে। সরকার তাদের গ্রেপ্তার তো করেছেই, এরপর নির্যাতন করেছে, তাদের রিমান্ডে নিয়েছে।
“ছাত্রনেতারা এমন কী করেছে যে তারা জামিন পাবে না? তাদের জামিন দেওয়া হবে না কেন?”
নুর বলেন, “ছাত্রনেতাদের গ্রেপ্তার করেই সরকার বিষয়টি সমাপ্ত করেনি। বরং যারা বাইরে আছে, তাদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করারও চেষ্টা করেছে।”
গ্রেপ্তার ছাত্রনেতাদের ঈদের আগে মুক্তি দেওয়া না হলে রাজপথে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
কর্মসূচিতে সংহতি জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, গণসংহতি আন্দোলনের আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম বাবলু, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর।