স্বাস্থ্য পরীক্ষা জন্য মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে তাকে বসুন্ধরার ওই হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। কিছু পরীক্ষা করার পর রাত ১২টার দিকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে নেওয়া হয় বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “উনার অবস্থা স্থিতিশীল আছে। আরও কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হবে। উনি দেশবাসীর দোয়া চেয়েছেন।”
গত ১১ এপ্রিল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর খালেদা জিয়া গুলশানে তার ভাড়া বাসা ফিরোজায় ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকীর অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। ১৪ দিন পর গত শনিবার আবার পরীক্ষা করা হলে তখনও তার করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’ আসে।
বিএনপি চেয়ারপারসন ছাড়াও তার বাসার আরো ১৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে খালেদা জিয়াসহ চারজনের এখনও সংক্রমণ রয়েছে।
যেদিন প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে, সেদিনই এভারকেয়ারে নিয়ে খালেদার সিটি স্ক্যান (চেস্ট)’ করানো হয়েছিল। ফুসফুসে সংক্রমণের মাত্রা তখন খুব সামান্য থাকায় বাসায় রেখেই তার চিকিৎসা করানোর সিদ্ধান্ত হয় সে সময়।
তার চিকিৎসক দলের সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন সে সময় বলেছিলেন, “ম্যাডাম করোনা পজিটিভ হলেও তার কোনো উপসর্গ নেই। তার অবস্থা স্থিতিশীল এবং তিনি ভালো আছেন।”
দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে কারাগারে যেতে হয়েছিল ৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে।
দেশে মহামারী শুরুর পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়’ শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। পরে দুই দফা তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
তখন থেকে গুলশানের বাসাতেই থাকছেন খালেদা জিয়া। তার সঙ্গে বাইরের লোকজনের যোগাযোগ সীমিত।