খালেদার অবস্থা আগের চেয়ে ভালো

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ‘আগের তুলনায় ভালো’ বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 April 2021, 07:22 PM
Updated : 20 April 2021, 08:06 PM

মঙ্গলবার রাতে গুলশানের বাসায় চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসনকে দেখে আসার পর সাংবাদিকদের এই কথা জানান তিনি।

ডা. জাহিদ বলেন, “আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার করোনা আক্রান্ত হওয়ার ১৩তম দিন। গত ২৪ ঘন্টায় উনার শরীরে জ্বর নেই, স্বাভাবিক মাত্রার তাপমাত্রা আছে। গত পরশুদিন থেকেই জ্বর নেই। উনার শ্বাস-প্রশ্বাস, স্যাচুরেশন খুবই ভালো আছে। খাবার রুচিও আগের মতো আছে।

“উনি অন্যদিনের চেয়ে আজকে ভালো বোধ করছেন বলে আমাদেরকে জানিয়েছেন।”

প্রতিদিনের মতই রাত সাড়ে ৯টায় অধ্যাপক জাহিদ হোসেন ও ডা. মো. আল মামুন গুলশানে ‘ফিরোজায়’ খালেদা জিয়ার বাসায় ঢোকেন। পরে সাড়ে ১১টার দিকে তারা বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

অধ্যাপক জাহিদ বলেন, “দেশনেত্রীর যে চিকিৎসা চলছে সেটাই চলবে। ১৪তম দিন পার হওয়ার পর মেডিকেল বোর্ড আবারো বিভিন্ন কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পরবর্তি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।”

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ১৪তম দিন অতিক্রম হওয়ার পর আগামী রোববার বা সোমবার করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করানো হবে। মেডিকেল বোর্ড বসে সিদ্ধান্ত নেবে কবে সেটি করা হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন বলে জানান অধ্যাপক জাহিদ।

বয়স ও নানা জটিলতার দিকে লক্ষ্য রেখে আগামী আরো ২/৩ সপ্তাহ খালেদা জিয়াকে চিকিৎসদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে বলে জানান তিনি।

গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর খ্যাতনামা বক্ষব্যাথি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের তত্ত্বাবধানে গুলশানের বাসায় তার চিকিৎসা শুরু হয়।

গত ১৪ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান (চেস্ট) করা হয়।

গুলশানের বাসায় বিএনপি চেয়ারপারসন ছাড়াও আরো ৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসাও এখানে চলছে।

৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত। দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে তাকে কারাগারে যেতে হয়।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়; শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়।

তখন থেকে তিনি গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার সঙ্গে বাইরের কারও যোগাযোগ সীমিত।