মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
গত বুধবার এই উপ কমিটির সদস্যদের নামের তালিকা প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ, সেখানে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের নামও রাখা হয়।
কিন্তু রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তার দলীয় পদ নেওয়ার সমালোচনা করে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী যে কোনো একটি পদ ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সেলিম মাহমুদ বলেন, “আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপ-কমিটিতে সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নয়, সুপ্রিম কোর্টের একজন সিনিয়র আইনজীবী ও একজন আইনজ্ঞ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।”
তার ভাষ্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের বিভাগীয় উপ কমিটিগুলোতে কিছু বিশেষজ্ঞ সদস্য রাখার বিধান রয়েছে। এই বিশেষজ্ঞ সদস্যরা দলের প্রাথমিক সদস্য নাও হতে পারেন।
“উপ-কমিটিতে বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে আমরা দেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইন, বিধি-বিধান ও প্রথা অনুসরণ করেছি। এতে আইন ও প্রচলিত প্রথার কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।"
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “আমরা লক্ষ্য করেছি, অনেকে এ বিষয়টিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-কমিটিকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল পদ নিয়েও তারা সংবিধান ও আইনের সম্পূর্ণ ভূল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন এবং মনগড়া কথা বলছেন, যা সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত।”
তারপরও কেন আমিন উদ্দিনের নাম বাদ দেওয়া হল, সেই ব্যাখ্যায় আওয়ামী লীগ বলেছে, "তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপ-কমিটিকে সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা এবং জনমানসে অ্যাটর্নি জেনারেল পদ নিয়েও যাতে বিতর্কের সৃষ্টি না হয়, সেজন্য বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিনের পরিবর্তে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনসুরুল হক চৌধুরীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।"