নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “গতকাল বুধবার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালের ২৩ অগাস্ট মামলায় একই আদালত রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ দেশনেত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল।
“দেশনেত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ঘটনার মধ্য দিয়ে বর্তমান বিনা ভোটের প্রধানমন্ত্রীর জিঘাংসা ও প্রতিহিংসা পূরণের মুখোশ আরও একবার উন্মোচিত হল। এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ঘটনাটি কর্দয অমানবিকতা, নির্মমতা ও হিংস্রতার বহিঃপ্রকাশ। আমরা এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
অবিলম্বে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ প্রত্যাহার ও তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান রিজভী।
তিনি বলেন, “দেশনেত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ঘটনায় পরিষ্কার বোঝা যায় যে, আইন-আদালত শেখ হাসিনার হাতের মুঠোয় এবং আওয়ামী লীগেরই একটি বর্ধিত প্রতিষ্ঠান। আওয়ামী কক্ষপথেই ঘুরপাক খাচ্ছে আইন-আদালত।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি জানান রিজভী।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, মীর সরফত আলী সপু, শেখ রবিউল ইসলাম রবি, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।