‘ডাকাতি’ করে ভোট নিয়ে গেল: ফখরুল

পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ‘ভোট ডাকাতি’ করে জয়ী হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Jan 2021, 02:15 PM
Updated : 17 Jan 2021, 02:17 PM

পৌর নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ৬০টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণের পরদিন রোববার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি।

ফখরুল বলেন, “পৌরসভা নির্বাচন গতকাল হয়ে গেল। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা দখল করে নিয়ে গেল, ডাকাতি করে নিয়ে গেল। এমনকি খুন পর্যন্ত হয়েছে। সিরাজগঞ্জে একজন কমিশনার, তিনি প্রায় ৮৫ ভাগ ভোট পেয়ে জিতেছেন, তাকে হত্যা করা হয়েছে।

“তারা (সরকার) এখন ভোট করছে, এই ইভিএমের মধ্যে সম্পূর্ণ কারসাজি-কারচুপি তারা রাখছে। অর্থাৎ সমগ্র রাষ্ট্রযন্ত্রকেই তারা আজকে নষ্ট করে ফেলেছে। ওরা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহারে করে নিজেরা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য, একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে পোক্ত করবার জন্য।”

বিএনপি পৌর নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ করলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তা প্রত্যাখ্যান করে আসছে।

ইসি সচিব মো. আলমগীর ‘নগণ্য বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ ছাড়া ভোট সুষ্ঠু হয়েছে বলে দাবি করলেও নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, এই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়নি।

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে গঠিত বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির সভায় বক্তব্য রাখেন ফখরুল। শাহজাহানপুরে মির্জা আব্বাসের বাসায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশে ‘গভীর সঙ্কট’ সৃষ্টি হয়েছে দাবি করে ফখরুল বলেন, “এই সঙ্কট শুধু রাজনৈতিক সঙ্কট নয়, অর্থনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে।

“আমরা যখন খবরের কাগজ খুললে দেখি যে, সীমান্তে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। আমার লক্ষ্য করেছি, আমাদের যে ন্যায্য অধিকারগুলো স্বাধীন দেশ হিসেবে সেগুলো আমরা পাচ্ছি না। সব মিলিয়ে এখন বলা যেতে পারে, এখন সত্যিকার অর্থেই স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ নয়।”

সভায় বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপদযাপন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপিই রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের দল।

ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস বলেন, “সরকারি দল একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। শুধু জিয়াউর রহমান ও তার দলকে খাটো করার জন্যে তাদের (আওয়ামী লীগ) প্রচার-প্রচারণা চলছে। জিয়াউর রহমানের কৃতিত্বকে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগে যেভাবে উঠে-পড়ে লেগেছে, তা প্রতিরোধে যার যার সাধ্য মতো আমাদেরকে পালন করতে হবে।”

মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের কৃতিত্ব এবং পরে তিনি দেশের জন্য কী কী করেছেন, তা নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা হবে বলে জানান তিনি।

মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ফজলুল হক মিলনের পরিচালনায় সভায় স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব আব্দুস সালাম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তৈমুর আলম খন্দকার, আফরোজা খানম রীতা, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা কামরুজ্জামান রতন, আবুল কালাম আজাদ, আবদুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল, হুমায়ুন কবির খান, তমিজ উদ্দিন, ফকির মাহবুব আলম স্বপন, মজিবুর রহমান, এলাবার্ট পি কস্টা, শামসুজ্জামান সুরুজ, অপর্ণা রায়, নিপুণ রায় চৌধুরী, মেহেরুন নেছা হক, আকম মোজাম্মেল, এস এম কবির জিন্নাহ, আজহারুল ইসলাম মান্নান, মোস্তাফিজুর রহমান দীপু ভুঁইয়া, রবিউল ইসলাম রবি, মাজহারুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মধ্যে ছিলেন আফরোজা আব্বাস, কাজী আবুল বাশার, আবদুল আলীম নকি, মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, হাবিবুর রশীদ হাবিব, ইউনুস মৃধা, সুলতানা আহমেদ, হেলেন জেরিন খান, সাবিনা ইয়াসমীন, আমেনা খাতুন, রোকেয়া সুলতানা তামান্না, শামসুন্নাহার ভুঁইয়া, সুরাইয়া বেগম, সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, রফিকুল আলম মজনু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, শহীদ বাবলু, ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, আলমগীর হোসেন, গোলাম মনজুর, মাহবুব আলম বাদল, জেলা নেতাদের মধ্যে দেওয়ান সালাহউদ্দিন, খন্দকার আবু আশফাক, কাজী ছায়েদুল আলম বাবুল, সালাহউদ্দিন সরকার, সোহরাব উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, সাখাওয়াত হোসেন খান, অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, সাইদুল হক সাজু, ফরহাদ হোসেন ইকবাল, আবদুস সবুর সেন্টু, শাহ রিয়াজুল হান্নান, মনজুরুল করীম রনি।