বিএনপি সমর্থিত এই সংগঠনের কয়েকশ নেতাকর্মী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেখানে মোমবাতি প্রজ্বালনের মাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীর ওপর সংঘটিত নিষ্ঠুরতার প্রতিবাদ এবং দোষীদের শাস্তির দাবি জানান। পাশাপাশি সারা দেশে ধর্ষণ-হত্যাসহ নারী ও শিশুদের ওপর নিযার্তন-নিপীড়নের প্রতিবাদ জানান তারা।
‘শিশু নিপীড়ন বন্ধ কর’, ‘বিকৃত যৌনাচার বন্ধ কর’, ‘স্কুলছাত্রীর হত্যাকারীর বিচার চাই’, ‘জেগে ওঠো- শিশুদের রক্ষা কর’ ইত্যাদি দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ও প্রজ্জ্বলিত মোমবাতি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেন তারা।
ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, “তার শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া না গেলেও যৌনাঙ্গ ও পায়ুপথে ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গেছে। বিকৃত যৌনাচারের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।”
দিহান দাবি করেছেন, তারা ‘পরস্পরের সম্মতিতে’ দৈহিক সম্পর্ক গড়েছিলেন।
তবে দিহানের বিরুদ্ধে মেয়েটিকে কৌশলে তাদের কলাবাগানের ডলফিন গলির বাসায় নিয়ে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ তুলে মামলা করেছে তার পরিবার।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “তার মা কী বলেছেন? তিনি বিচার চাওয়ার পর তাদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে।”
এর রকম ব্যবস্থার মধ্যে দেশ চলতে পারে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, “জনগণের প্রতিনিধিত্বের সরকার নেই বলেই এই ধরনের ঘটনায় সরকারের দায়বদ্ধতা দেখা যাচ্ছে না। জনগণের প্রতি সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তাদের পছন্দ-অপছন্দে তোয়াক্কা সরকার করে না।
এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সবাইকে সোচ্চার হয়ে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানান গয়েশ্বর।
সংগঠনের সদস্য বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় কর্মসূচিতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
এই কর্মসূচিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শিরিন সুলতানা, মীর সরফত আলী সপু, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, বিলকিস ইসলাম, ফরিদা ইয়াসমীনসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।