জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বুধবার দুপুরে এক মানববন্ধনে তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমান একটি ইতিহাস। একটি যুদ্ধের ইতিহাসের মধ্য দিয়ে, রক্ত বিসর্জন দিয়ে, বাংলা ভাষা, জীবন ও রক্ত দিয়ে…যাদের রক্তে লেখা এই স্বাধীনতা, তাদেরকে রক্তকে অপমান করার দুঃসাহস দেখাবেন না।”
পুরান ঢাকার মোগলটুলিতে জিয়াউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করার প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে এই মানবন্ধন হয়।
গয়েশ্বর বলেন, “আমি বলব, এবাউট টার্ন। আবারও বলব, ভ্রাতুষ্পুত্রকে বলেন- তিনি যেন নিজ হাতে জিয়াউর রহমানের নামের সাইনবোর্ডটা লাগিয়ে দিয়ে আসেন। তা নাহলে যেদিন ক্ষমতার পরিবর্তন হবে, বাংলাদেশে ভাঙচুর শুরু হবে সেটা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা তখন আপনার থাকবে না- এই কথাটা ভাবেন।”
সরকারপ্রধানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “প্রতিহিংসা বাদ দেন। কম তো খান নাই, অনেক খাইছেন। এগুলো শেষ করতে যতটুক হায়াত দরকার, আল্লাহ তো এতো হায়াত দেয় নাই। বাংলাদেশকে তো আপনি শেষ করে দিয়েছেন। এসব খেতেও পারবেন না, কবরে নিয়েও যেতেও পারবেন না।
“সেই কারণে বলব, স্বেচ্ছায় মানে মানে ক্ষমতা ছেড়ে দেন। আপনি যদি স্বেচ্ছায় জনগণের কাছে ক্ষমতা দেন তাহলে মান-ইজ্জত বাঁচবে। আর জনগণ যদি ক্ষমতা থেকে নামায় মান-ইজ্জত-অর্থ-বিত্ত সবই হারাবেন।”
তিনি বলেন, “আদর্শ-চেতনা-দেশপ্রেমে জিয়াউর রহমান, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে জিয়াউর রহমান, গণতন্ত্রে জিয়াউর রহমান, উৎপাদনে জিয়াউর রহমান। তাকে সহ্য করতে আপনারা পারবেন না। তাকে ইচ্ছা করলে আড়াল করা যায় না।
“রাষ্ট্রের টাকা খরচ করে যত স্মৃতিসৌধ, কতকিছু বানাচ্ছেন। সেগুলো রক্ষার স্বার্থে হলেও ইতিহাসে হাত দেবেন না। যে যেখানে আছে রাজনৈতিক কারণে, ঐতিহাসিক কারণেই জাতির সামনে তারা এখানে আছে। তাদেরকে থাকতে দিন, তাদের নাম রাখতে দিন। মানুষের হৃদয়ে আঘাত করলে সেই আঘাতের পাল্টা আঘাত আসবে তখন কোনো ক্ষমতায়ই টিকিয়ে রাখতে পারবেন না।”
গয়েশ্বর বলেন, “জিয়াউর রহমানের আজকে কিছুই নাই, কিছু রেখে যান নাই। বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার চেয়ে আর গরীব কেউ নাই। নিজের একটা বাড়ি নাই। ভাড়া বাড়িতে থাকেন। প্রায়ই নোটিস পান, ভাড়া পরিশোধ করা যায় না।”
“দুর্নীতি দমন কমিশন খালেদা জিয়ার যা উপার্জন, যা সম্পদ আছে বৈধভাবে সার্টিফিকেট দিয়েছে। তাহলে তার অ্যাকাউন্ট সিজ করে কেন? কেন তিনি অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০ হাজার টাকার বেশি তুলতে পারেন না। ঢাকা শহরে একজন নেত্রীর ৫০ হাজার টাকায় কীভাবে চলে, কীভাবে তার চিকিৎসা চলে?”
স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তা্রিফজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েলের পরিচালনায় মানববন্ধনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সুলতান মো. নাসির উদ্দিন, আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল, রফিক হাওলাদার, ইয়াসীন আলী, সাদরেজ জামান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।