এক বছর পর যুবলীগের ২০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি

জাতীয় কংগ্রেসের প্রায় একবছর পর ২০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Nov 2020, 12:40 PM
Updated : 14 Nov 2020, 01:03 PM

শুদ্ধি অভিযানে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসা যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেসে গত বছরের ২৩ নভেম্বর তিন বছরের জন্য নেতৃত্বে আসেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে শেখ ফজলে সামস পরশ। তার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক হন যুবলীগের ঢাকা উত্তরের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

শেখ মনির ভাই যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ছেলে শেখ ফজলে ফাহিম নতুন কমিটিতে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হয়েছেন, যিনি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি।

শেখ সেলিমের আরেক ছেলে শেখ ফজলে নাঈমও স্থান পেয়েছেন সভাপতিমণ্ডলীতে। ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সনকেও সভাপতিমণ্ডলীতে রাখা হয়েছে।

শনিবার বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কাছে হস্তান্তর করেন।

মাইনুল হোসেন খান নিখিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “আমাদের সাংগঠনিক নেত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমরা কমিটি জমা দিয়েছিলাম। অনুমোদনের পর আজ বিকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভাই আমাদের কাছে সেই অনুমোদিত কমিটি হস্তান্তর করেছে।”

স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর যুবকদের সংগঠিত করার লক্ষ্য নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে যুবলীগ গঠন করেন তার ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মনি। ১৯৭৪ সালে যুবলীগের প্রথম কংগ্রেসে তিনিই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

সর্বশেষ ২০১২ সালে ষষ্ঠ কংগ্রেসে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান শেখ মনি ও শেখ সেলিমের ভগ্নিপতি ওমর ফারুক। তারপর ছয় বছর নির্বিঘ্নে কাজ করে এলেও গত বছর ক্যাসিনোকাণ্ডে বড় ধাক্কা খান ওমর ফারুক; সেই সঙ্গে সমালোচনায় নাকাল হয় যুবলীগ। এরপর সংগঠনটির অনেকেই ক্যাসিনোকাণ্ডসহ নানা অভিযোগে কারাগারে আছেন। অনেকেই সংগঠন ত্যাগ করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

প্রায় সাত বছর আগে ২০১৩ সালের প্রথম দিকে চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর রশিদ পূর্ণাঙ্গ কমিটি করেছিলেন। সেই কমিটির নেতাদের অনেকেই ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত থাকাসহ নানা অপরাধে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।