বাইডেনের ‘ভক্ত হয়ে গেছেন’ ফখরুল

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিসের বক্তৃতা শুনে তাদের ‘ভক্ত হয়ে গেছেন’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Nov 2020, 01:42 PM
Updated : 10 Nov 2020, 01:42 PM

মুগ্ধ ফখরুল বলেছেন, “বক্তব্য কী! পুরো জাতির জন্য বক্তব্য! কোনো দল বা ব্যক্তির জন্য নয়। দিস উড বি দ্য স্পিরিট অব আ ডেমোক্রেটিক লিডার।”

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্য আসে।

সাংবাদিকদের তিনি পরামর্শ দেন, “জো বাইডেনের বক্তৃতাগুলো শোনেন। আমি তো ভক্ত হয়ে গেছি। আর কমলা হ্যারিসেরও।”

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘লিডার! নেতা হবেন তিনি, যিনি আপনার এভাবে বক্তব্য রাখেন। এতো কিছুর পরে বলছেন (জো বাইডেন) যে, ‘লেটস ফরগেট, চলেন আমরা আমেরিকাকে নীল রাজ্য আর লাল রাজ্যে বিভক্ত না করি, এটা যুক্তরাষ্ট্র’।

“আজকে ঠিক একইভাবে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ আর বিএনপি না করে আমরা আজকে বাংলাদেশি রাষ্ট্র তৈরি করি, মুক্ত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র তৈরি করি। এখানে প্রতিষ্ঠানকেগুলো ঠিক রাখি।”

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে দেশটির ৪৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।

তার রানিং মেট কমলা হ্যারিস প্রথম নারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে গণতন্ত্রের যে অবস্থা, সেটা সবচেয়ে শক্তিশালী। সেখান থেকে এই শিক্ষা নিয়েছি যে, প্রতিষ্ঠানগুলো যদি গণতান্ত্রিক থাকে, তারা যদি দাঁড়িয়ে যায়, ইন্সটিটিউশনগুলো যদি বিল্ডআপ হয়, তাহলে কেউ জোর করে ক্ষমতা নিতে পারে না বা জোর করে কেউ কিছু করতে পারে না।”

বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনকে শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে ফখরুল কলেন, “ভারতের দিকে তাকিয়ে দেখেন। এতো কিছুর পরও ভারতে নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে কোনো সমস্য হয়নি। আজকে যে নির্বাচন বিহারে হচ্ছে সেখানে কিন্তু দেখেন ইলেকশন কমিশন সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন নেই। কারণ তারা সেটা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে।”

বাংলাদেশে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাদ দেওয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “কেন বাদ দিলেন? হোয়াই? তারাই তো (আওয়ামী লীগ) এটার জন্য আন্দোলন করেছেন, ১৭৩ দিন হরতাল করেছেন। কেন বাদ দিয়েছে? কারণ তারা ওই যে সংকীর্ণ… তারা ক্ষমতায় থাকবে, যে কোনোভাবে ক্ষমতায় থাকবে।”

এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বিএনপি নেতাকর্মীদের দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ফখরুল।

“সমস্যা আসবে, জেলে যাব- এর মধ্য থেকে আমাদেরকে টেনে তুলতেই হবে। এটা আজকে বড় কথা, গণতন্ত্রের জন্য আরো ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যদি এই বয়সে অন্তরীণ থাকতে পারেন অসুস্থ অবস্থায়, আমরা যদি ত্যাগ স্বীকার করি, আমরা গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে পারব।”

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব সাইদুর রহমান বাচ্চু উপস্থিত ছিলেন।