বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই দাবি জানান।
তিনি বলেন, “কথায় কথায় বিরুদ্ধ মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দিয়ে সরকার দেশে প্রতিহিংসার রাজনীতিকে চরম পর্যায়ে নিয়ে গেছে। রুহুল আমিন গাজীকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে স্তব্ধ করতে আরও একটি ঘৃন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।”
দৈনিক সংগ্রামের প্রধান প্রতিবেদক রুহুল আমিন গাজীকে যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লাকে ‘শহিদ’ লিখে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বুধবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ, বৃহস্পতিবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ফখরুল বলেন, “রুহুল আমিন গাজীকে রাষ্ট্রদ্রোহের বানোয়াট মামলায় গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সরকারের সমালোচক, প্রতিবাদী কলামিস্ট, বিবেকবান লেখক-বুদ্ধিজীবীদেরকে বর্তমান ফ্যাসিষ্ট সরকার এক অশুভ বার্তা জানান দিল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “সরকার কেবল বিএনপিসহ বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীরাই নয়, তারা এখন টার্গেট করেছে ফ্যাসিবাদবিরোধী প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরকে। সরকারের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে। জনসমর্থনহীন এই সরকার হিতাহিত-বিবেচনাহীন হয়ে পড়েছে।
“অন্তঃহীন ক্ষমতার জন্য এরা প্রতিবাদী সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাই সরকার গণভিত্তি হারিয়ে কোনরকমে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে যাঁরা জাতির বিবেক,তাঁদের ওপর মরণকামড় দিতে শুরু করেছে।”